পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকায় মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৩ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ বের করতে সেই তালিকায় রয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাদেশিক এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, স্পর্শকাতর এলাকায় থাকা লোকেরা হামলার সমন্বয় করতে সহায়তা করেছিলো কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থেই আটক করা হয়েছে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে।
তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং তার আশেপাশের উপজাতীয় এলাকার বাসিন্দা আছেন।
হামলার পর দাবি করা হয়েছিলো, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলা চালিয়েছে। যদিও পরে সংগঠনটি হামলার দায় অস্বীকার করে। টিটিপি দায় অস্বীকার করলেও তা মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি অতীতেও অনেক হামলার পর দায় অস্বীকার করেছে সংগঠনটি।
বার্তা সংস্থা বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধবিরতি’ থেকে বেরিয়ে যায় অনেক জঙ্গি সংগঠন। তারপর থেকেই বেড়েছে সহিংসতা। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অস্ত্র জমা দেয়ার শর্তে দেশে ফিরলেও, পরে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হননি জঙ্গিরা। আর এখান থেকেই মূলত বর্তমান সমস্যার শুরু।
গত সোমবার শহরটির মসজিদে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ গেছে ১০১ জনের। আরও ২২৫জন সেই হামলায় আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
ছবিঃ সংগৃহীত