সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বৃষ্টির কবলে পড়ে লঙ্কান মেয়েরা।
বৃষ্টি শুরুর আগে ১৮.১ ওভারে লঙ্কানরা ৫ উইকেট হারিয়ে করে ৮৩ রান। বন্ধ ছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা।
খেলা শুরু হয় বেলা ১১.৫০ এ। বৃষ্টি আইনে তখন বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৪১ রান। এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেবল হতাশই করেছেন মেয়েরা। মাঠ ছাড়তে হয় ৩ রানের হার নিয়ে। এশিয়া কাপে বড় ধাক্কা বাংলাদেশ টিমের।
দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা হক আউট হন দলীয় ১২ রানের মধ্যে। নিগার ও রুমানা সেই চাপটা সামলে নিয়েছেন ছোট জুটি গড়ে। দুজনের ব্যাটিংয়ে রান রেটও ছিল নাগালে। শেষ দুই ওভারের বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১২ রান। আইনোকা রানাওয়েরার করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ম্যাচের ছবিটা পাল্টে যায়। বাঁহাতি স্পিনারের এক ওভারেই ৪ উইকেটের পতন ঘটে। রুমানা, নিগার এবং সোবহানা ক্যাচ আউট হওয়ার পর ওভারের শেষ বলে রান আউট ফাহিমা। সেই ওভারের পর বাংলাদেশের জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ছিল ১১ রান। সেই ওভারে একটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ৩৭ রানে।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জাহানারা আলম অবিশ্বাস্য এক ডেলিভারিতে লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুকে বোল্ড করে। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা বলটি বিশাল ইনসুইং করে আতাপাত্তুর স্টাম্প।
জাহানারার চোখে মুখেও তখন অবিশ্বাস, সঙ্গে আনন্দও। সেই উইকেটটিই মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে জাহানারাকে শততম উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে দিয়েছে। আগে স্পিনার সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ ও নাহিদা আক্তার টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
জাহানারার ওই কীর্তির পর বাকি বোলাররাও লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরেন। নিচু বাউন্সের উইকেটে সুবিধা করতে পারেননি লঙ্কানরা।
ইনিংসের ১৮.১ ওভারে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে রুমানা আহমেদ সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার ও জাহানারা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
শ্রীলঙ্কার কাছে এই হারের কারণে শেষ চারে যেতে বাংলাদেশকে চেয়ে থাকতে হবে ভারত-থাইল্যান্ডের ম্যাচের দিকে। ছবিঃ সংগৃহীত।