যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ছয়টি অঙ্গরাজ্যে পৃথকভাবে বেশ কিছু শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এক প্রতিবেদনে রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত শুক্রবার আঘাত হানা টর্নেডোকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, দুর্যোগ পীড়িত মানুষকে সহায়তা করতে সম্ভব সবকিছুই করবে তার সরকার।
এ টর্নেডোর আঘাতে বহু বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
এ ঘটনায় বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি প্রদেশেই টর্নেডোতে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি মোমবাতি কারখানাতেই নিহত হয়েছেন বেশি মানুষ। সেখানে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
টর্নেডোতে বিধ্বস্ত মোমবাতি কারখানাটি যুক্তরাষ্ট্রের মেফিল্ড শহরে অবস্থিত। গত শুক্রবার রাতে হওয়া ওই টর্নেডো কারাখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানে এবং এতেই ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বিবিসি বলছে, কারখানার ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি হপকিন্স কাউন্টিতে ঝড়ের কারণে একটি ট্রেনও লাইনচ্যুত হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতের ওই টর্নেডোতে কেনটাকি ছাড়াও অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে কমপক্ষে আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইলিনয়িস অঙ্গরাজ্যে জায়ান্ট ই-কমার্স প্লাটফর্ম অ্যামাজানের একটি ওয়্যারহাউসে ৬ জন প্রাণ হারায়। বড়দিনের উৎসবের আগে তারা সেখানে অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত করছিলেন তারা। ছবি সংগৃহীত