ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ফিলিস্তিনের তিন বছর বয়সী শিশুটি মারা গেছে বাবার সঙ্গে নিজেদের বাড়ি থেকে বের হবার সময়। আহত হওয়ার চারদিন পর মোহাম্মেদ তামিমি নামে শিশুটির মৃত্যু হয়। চলতি বছর সহিংসতায় নিহত হওয়া ফিলিস্তিনের সবচেয়ে কম বয়সী শিশু তামিমি।
নিজেদের বাড়ি থেকে বের হবার সময় তামিমি ও তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, ওই এলাকার খুব নিকটবর্তী ইহুদি বসতিতে দুই বন্দুকধারীকে তাড়া করার সময় গুলি চালায় সৈন্যরা। ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ‘বেসামরিক নাগরিকদের’ ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেছেন যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাবি সালেহের প্রবেশদ্বারে একটি গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানোর অপেক্ষায় ছিল ও গাড়িটি কাছে আসার সাথে তারা গুলি চালায়।
মোহাম্মেদ তামিমি নামের ওই শিশুটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। গুলিবিদ্ধ হবার পরপরই ইসরায়েলি সেনারা তাকে হেলিকপ্টারে করে সাফরা চিল্ড্রেনস হসপিটালে নিয়ে যান। মাথায় আঘাত পাওয়া শিশুটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকেরা।
শিশুটির বাবা হাইথাম তামিমি ফিলিস্তিনের হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলের মৃত্যুর আগে তিনি ইসরায়েলে গিয়ে তাকে দেখে আসতে পেরেছেন।
একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দুই ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে হালামিশ বসতি যা নেভেহ তজুফ নামেও পরিচিত-সেখানে গোলাগুলির ঘটনাটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালায়, যার ফলে দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়।
এক বিবৃতিতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, এরকম ক্ষতির জন্য তারা অনুতপ্ত ও এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে, শুক্রবারের বিক্ষোভগুলো হচ্ছিল নাবি সালেহতে। গ্রামের জমি বাজেয়াপ্ত করা ও দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরকম প্রতিবাদ প্রায়শই ইসরায়েলি সৈন্যদের সাথে সহিংস সংঘাতে গড়ায়, অনেক সময় সেনারা বিক্ষোভকারীদের আটকাতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা প্রায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বেসামরিক মানুষও রয়েছেন, নিহতদের মধ্যে।
সূত্রঃ বাসস