দুই দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা দেখলো দেশবাসী। ওড়িশায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতে হয় ২৭৮ জন মানুষ। মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয় এক হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে দুর্ঘটনার তিনদিন পার হলেও, ১০১টি মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে পরিদর্শন করে এনডিটিভি জানায়, হাসপাতালটিতে এখনো মৃতদের খোঁজে ভীর করছেন স্বজনরা।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহতদের শরীর গুরুতরভাবে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ও বৈদ্যুতিক তারের কারণে কিছু কিছু মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় স্বজনদের মৃতদেহ শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে, এটি একটি প্রধান কারণ বলে জানান কর্মকর্তারা।
বিহারের দারভাঙ্গার রাকেশ যাদব দুই দিন ধরে তার ভাইকে খুঁজছেন। গতকালও হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে তার ভাইয়ের বদলে গ্রামের একজনের লাশ পেয়েছেন। তার ভাই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
পূর্ব-মধ্যাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক রিঙ্কেশ রায় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে জানান, এখনো প্রায় ২০০ জন আহত ব্যক্তিকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় প্রায় ১১০০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০০ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসায় রয়েছেন। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ২৭৮ জনের মধ্যে ১০১ জনের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
নিহতদের শনাক্তে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ওড়িশার সরকারের সাথে সমন্বয় করে নিহতদের ছবি ও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আহতদের তালিকাসহ তিনটি অনলাইন লিংক তৈরি হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত