রিপাবলিকান রাজনীতিক এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নাম লেখালেন। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের মতো নেতাদের বিপক্ষে লড়াই করবেন পেন্স।
একই সঙ্গে লড়তে হবে দক্ষিণ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ্যালি, সিনেটর টিম স্কট, আরকানসাসের প্রাক্তন গভর্নর আসা হাচিনসন এবং ধনকুবের বিবেক রামাস্বামীর বিরুদ্ধেও। ৬৩ বছর বয়সী পেন্স বুধবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারেন।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পেন্স। ট্রাম্প অনেক আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবে রিপাবলিকান পার্টি।
বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষায় প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প এখনও বেশ জনপ্রিয়। এর পর রয়েছেন ফ্লোরিডার গভর্নর ডিস্যান্টিস। সম্প্রতি প্রচার শুরু করা ডিস্যান্টিসকে ট্রাম্পের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ানা রাজ্যের প্রাক্তন গভর্নর এবং কংগ্রেসম্যান পেন্স ট্রাম্পের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর তিনি নিজেকে ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরে সরে যান।
সে সময় জো বাইডেনের জয়কে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেয়ার জন্য ট্রাম্প পেন্সকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই চাপে পেন্স রাজি হননি। এজন্য অনেক ট্রাম্প সমর্থক পেন্সের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছিল। চলতি বছর মার্চে এক বক্তব্যে পেন্স বলেন, ট্রাম্পের সেই উৎসাহের কারণে আমি আর আমার পরিবার বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
নির্বাচনী লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ায় মাইক পেন্সকে অভিনন্দন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। দলটি থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এজন্য প্রাইমারিতে তাকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাইপো রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবং লেখক মারিয়েন উইলিয়ামসনের মুখোমুখি হবেন।
সূত্রঃ নিউইয়র্ক টাইমস। ছবিঃ সংগৃহীত