স্টুডিওতে ঢুকে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা, ফিলিপিন্সে

স্টুডিওর ভিতরে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ফিলিপিন্সে দ্বীপ মিন্দানাওতে একজন রেডিও সম্প্রচারকারী সাংবাদিককে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দ্যা গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

জানা গেছে, নিহত সাংবাদিক জুয়ান জুমালন (৫৭) দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাওতে নিজের বাড়ির স্টুডিওতে ছিলেন, সে সময় একজন বন্দুকধারী তার মাথায় গুলি করে হত্যা করে।পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন একটি সম্প্রচারে ঘোষণা দেয়ার ভান করে জুমালনের স্টুডিওতে প্রবেশ করেছিল। জুয়ানও স্টুডিওর দরজা খুলে দেন। সেখানে ঢুকেই জুয়ানের মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালাতে থাকে সেই ব্যক্তি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুয়ান। তারপর চম্পট দেয় আততায়ী।

আরও পড়ুন -  Earthquake: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ফিলিপাইন

প্রেসিডেন্সিয়াল টাস্ক ফোর্সের মিডিয়া সিকিউরিটি প্রধান পল গুতেরেস বলেছেন, হামলাটি ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে। দেখা গেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্প্রচারকারীকে দুবার গুলি করেছে, চলে যাওয়ার আগে তার সোনার নেকলেস কেড়ে নিয়েছে।

গুতেরেস একটি বিবৃতিতে বলেছেন, খুনের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ প্রধান রাগোনিও বলেছেন, তারা হত্যার কারণ অনুসন্ধান করছেন। জুমালনের জীবনে পূর্বের কোনো হুমকির কথা তারা জানতেন না। জুমালন ৯৪.৭ গোল্ড এফএম ক্যালাম্বা স্টেশনে তার সেবুয়ানো-ভাষায় শোতে ‘ডিজে জনি ওয়াকার’ নামটি ব্যবহার করছিলেন।

আরও পড়ুন -  Philippines: জীবিত উদ্ধার ১২০ আরোহী, ফিলিপাইনে ফেরিতে আগুন

রাজধানীর বাইরের রেডিও সম্প্রচারকারীরা প্রায়শই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুমালনের হত্যার নিন্দা করেছেন। কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কোস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা আমাদের গণতন্ত্রে বরদাস্ত করা হবে না। যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে তারা কর্মের ফল ভোগ করবে।

আরও পড়ুন -  উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ ছাত্রীদের বিক্ষোভ, জবাবে ‘লাঠিপেটা’ করলেন আধিকারিক !

গত বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জুমালন হলেন চতুর্থ সাংবাদিক যাকে হত্যা করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট এই হত্যার তীব্র নিন্দা করেছে। দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটি সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানগুলির মধ্যে একটি।

ছবিঃ দ্যা গার্ডিয়ান।

Leave a Comment