কলকাতার তৃণমূল ভবন মেট্রোপলিটনে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ কলকাতার তৃণমূল ভবন মেট্রোপলিটনে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা ও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

পার্থ ভৌমিক

গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সারা দেশের মানুষ যেসকল জায়গায় ভরসা রাখতেন সেগুলো রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধী দলের ক্ষেত্রে ইডি সিবিআই ইনকাম ট্যাক্স যত টা সক্রিয় বিজেপির ক্ষেত্রে তার 0.1% নেই।তদন্ত হলে সবার ক্ষেত্রে হওয়া উচিত। যারা বলেছিল না খাবো না খেতে দেবো কিন্তু দেখা যাচ্ছে যারা বিজেপির নেতা তাদের বক্তব্য যদি বিজেপিতে থাকে তাহলে খাও নাহলে না। সারদা মামলা চলল এতো দিন । তাপস পাল মারা গেলেন কিন্তু জেনে যেতে পারলেন না তার দোষ ছিল কিনা। তদন্ত হোক কিন্তু তদন্ত দীর্ঘায়িত না করা হোক। কোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পাই না আমরা। কিছু মিডিয়া কে কাজে লাগিয়ে চরিত্র মেলাইন করা হচ্ছে। বাংলায় হার মেনে নিতে পারছে না বলেই বাংলার নেতা মন্ত্রীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  বর্ষার শ্যামল রূপে প্রকৃতি সেজেছে নিজের খেয়ালে

চরম অত্যাচার করেও সিপিআইএম আটকে রাখতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিজেপি চরম অত্যাচার আর বঞ্চনা করে আটকাতে পারবে না।

রাজ্যপালকে চিঠি

কোনো রাজনৈতিক সভায় কে কি বক্তব্য রাখছে সেটা তার ব্যাপার। তবে শুভেন্দু অধিকারী যখন মুখ্যমন্ত্রীকে বেগম খালা বলে বিরবাহা হাসদা কে অপমান করেন তখন তার কি হবে। অতএব তার কথা উত্তর দেবো না।

পুরসভায় নজর ইডি

এটা লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলতে থাকবে। নির্বাচনে না পেরে এই অত্যাচার করার চেষ্টা করছে বিজেপি তৃণমূল নেতাদের।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য

উনি যেটা বলেছেন সেটা আমরা প্রথম থেকে বলে যাচ্ছি । সিবিআই ইডি NIA ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস কে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু উত্তর 24 পরগনা, তাই উত্তর 24 পরগনার লোকসভা কেন্দ্রগুলিকে দুর্বল করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে সুবিধা করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন -  সেই আমি আমার মতো

অধীর চৌধুরীর বক্তব্য ডায়মন্ড হারবার প্রার্থী নিয়ে

এভাবে মিডিয়া তে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে । তৃণমূল এরাজ্যে উন্নয়ন এর জন্য কাজ করেছে। যারা রাজ্যের মানুষের হকের টাকা আটকানোর চেষ্টা করছে আর যারা মানুষের জন্য টাকা আনার জন্য লড়াই করছে সেটা মানুষ বুঝে গেছে । তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে ডায়মন্ড হারবারে।

তবে শুভেন্দু অধিকারী বা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বলে দেবেন নরেন্দ্র মোদী প্রার্থী হলেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে যে সেটিং রয়েছে সেটা দুজনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভয় পাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  প্রতিনিয়ত গরু চুরির প্রতিবাদে তুফানগঞ্জ ভাটিবারি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

শশী পাঁজা

২০২১ এর পর দেখা গিয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর এসেছে অশ্বাভাবিক আক্রমণ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থ করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ করছে বিজেপি। তবে বেশ কিছু বিজেপি সংসদ এবং মন্ত্রীর তালিকা আজ আমরা দেব যাদের সম্পত্তি বেড়েছে উল্কা গতিতে। তবে কিভাবে এই গতিতে বাড়লো তার হিসেব এখনো পরিষ্কার নয়।

পেট্রোলিয়াম রাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সাংসদ রামেশ্বর তেলি, বিজেপি সাংসদ জ্যোতি সিন্ধিয়া, বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল, সাংসদ সৌমিত্র খান, হেমন্ত বিশ্বশর্মা আর অধিকারী পরিবার।

পার্থ ভৌমিক

রাজ্যপালের একটা বিষয় সম্পর্কে সহমত রাজ্যপালও বুঝতে পারছে ইন্ডিয়া জিতবে।