ইংলিশের কাছে ভরাডুবি হয়েছে সাকিব আল হাসানদের।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। রিচ টপলির ইন সুইং বলে জুনিয়র তামিমের ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে জনি বেয়ারস্টোর হাতে বল ধরা পড়ে। ২ বলে করেন ১ রান।
দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি কিছুই করতে।প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তারপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাস। টাইগার অধিনায়কও পারেননি কিছু করতে। ৯ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
বাংলাদেশের প্রথম তিন উইকেটই নেন রিচ টপলি। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা এ অলরাউন্ডার উইকেটের পেছনে জস বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। মিরাজের উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
টাইগার ব্যাটারদের আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন লিটন। প্রথম থেকেই শট খেলায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এই ওপেনার। ৩৮ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন লিটন।
দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন এলকেডি। তিন অঙ্কে যেতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৭৬ রানের ইনিংস খেলে।
লিটন চলে যাওয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি দেখা পান মুশফিক। আদিল রশিদের বলে লং অফে এক রান নিয়ে ৬১ বলে ফিফটি করেন। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। টপলির বলে কাট করতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে থাকা রশিদের হাতে ধরা পড়েন ৫১ রানে।
অন্যপ্রান্তে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেতে পারতেন তাওহিদ হৃদয়। তবে লিয়াম লিভিংস্টোনের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন ৩৯ রানে।
ব্যাটার শেখ মেহেদী বোল্ড হন রশিদের গুগলিতে। শেষ দিকে মার্ক উডের গতিময় বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১২ রান করা শরিফুল ইসলাম। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তাসকিন আহমেদ। ১৫ রান করা তাসকিনকে বোল্ড করেন স্যাম কারান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান রিচ টপলি। ক্রিস ওকস নেন ২টি উইকেট ও ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান, মার্ক উড, লিভিংস্টন এবং আদিল রশিদ।
ছবিঃ সংগৃহীত।