রোনালদো। কখনও তাকে উঠিয়ে নেওয়ার সময় নানা অঙ্গভঙ্গি বা পর্তুগাল দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে আসার খবরে। সব খবরের শিরোনাম শেষ হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়।
সম্ভবত জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন ‘সিআর সেভেন’।
তার কান্না দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, এমন ট্র্যাজেডির পর তিনি পর্তুগালের হয়ে আর খেলবেন না। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রহস্যময় লম্বা পোস্ট করে বাড়িয়ে দিল জল্পনা!
দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা বলেন, ক্লাব পর্যায়ে আমি অনেক শিরোপা জিতেছি। পর্তুগালের হয়েও জিতেছি অনেক কিছু। পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। দুঃখজনকভাবে সেই স্বপ্নটা শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, স্বপ্নপূরণে আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছি। পাঁচটি বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছি। দারুণ সব খেলোয়াড়ের সঙ্গ পেয়েছি। এত দিন ধরে একটানা সমর্থন জোগানোর জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। নিশ্চিত করতে চাই, লড়াই থেকে আমি কখনো সরে আসিনি, কখনো হাল ছাড়িনি।
রোনালদো লেখেন, দুঃখজনকভাবে আমাদের যাত্রা শেষ হয়েছে। আমি সবাইকে বলতে চাই, অনেক কিছুই বলা হয়েছে, অনেক কিছুই লিখা হয়েছে, অনেক কিছুই ভাবা হয়েছে আমাকে নিয়ে। কিন্তু পর্তুগাল দলের প্রতি আমার আনুগত্য এক মুহূর্তের জন্যেও কমেনি। আমি সবসময় আমাদের লক্ষ্যের পেছনে ছুটেছি, আমি কখনোই আমার সতীর্থদেরকে ছেড়ে চলে যাবো না, আমার দেশের প্রতি বিমুখ হবো না।
আর বেশি কিছু বলার নেই। পর্তুগালকে ধন্যবাদ। কাতারকে ধন্যবাদ। স্বপ্নটা যতোক্ষণ বেঁচে ছিল ততোক্ষণ বেশ ভালো ছিল। এখন আমি আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে, সবাই নিজেদের মতো করে শেষ করতে পারবে।
ইনস্টাগ্রামে এমন পোস্ট দেখার পর থেকে রোনালদোর সমর্থকরা দ্বিধাবিভক্ত। রোনালদো কি ভবিষ্যতে পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ফের একবার বল পায়ে নামবেন? নাকি আলমারিতে জাতীয় দলের জার্সি গুছিয়ে রেখে দেবেন? বোঝা যাচ্ছে না। কারণ রহস্যময় লম্বা পোস্ট করে নিজেই সেই জল্পনা জিইয়ে রাখলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এখন ৩৭-এ দাঁড়িয়ে। ২০২৪ সালের ইউরো কাপের সময় তার বয়স হবে ৩৯। রপর ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ। তখন তিনি ৪১ পেরিয়ে যাবেন।
ছবিঃ ইন্টারনেট