খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ উৎসব প্রেমী বাঙালির সব চেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গা পুজো। এই সময়ে ঘরের মেয়েকে আদরে যত্নে ভরিয়ে, জাকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করেন গোটা বাংলার মানুষ৷ শুধু কি বাংলা গোটা বিশ্বে যত বাঙালী আছে। কারণ বাঙালির কাছে এই পার্বন হল বিশেষ।
গত বছর থেকে দুর্গাপুজোর আনন্দ অনেকটা ক্ষীণ হয়েছিলো । করোনা অতিমারীর জন্য মহা সমারোহে দুর্গাপুজো উদযাপন করতে না পারছেনা। আগের বছরের মতো এবছরও করোনা মুক্ত হয়নি। তাই আজ ও অনেকের প্রশ্ন এই করোনার আবহে দুর্গা পুজো কেমন হবে ? যদি হয় তাহলে কী আবারও গত বছরের মতোই কি বাড়িতে বসে পুজো দেখতে হবে ? বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এ বছরও নমোঃ নমোঃ করেই ভার্চুয়ালি সাড়া হবে? এখনই অবশ্য উত্তর জানা নেই কারোর।
গত বছর সকল ভক্তদের প্রার্থনা ছিল মায়ের কাছে একটাই। “মাগো আসছে বছর যেন সব মঙ্গলময় থাকে। এবারেও যে সব আনন্দের মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। একের পর এক দিন চলে যাচ্ছে। ক্যালেন্ডারে বলছে এখন জুলাই মাস। ঊমার আগমন এগিয়ে আসছে। মায়ের মর্ত্যে আসতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। পুজো কেমন হবে, তা এখনও জানা নেই অনেকের।
মায়ের আগমন তো কোনোভাবে আটকানো যাবেনা। তিথি মেনেই হবে মা দুর্গার আগমণ আর গমন ।
কখনও মা আসেন গজে, কখনও ঘোটকে ঘোড়ায় তো কখনও বা দোলায়, কখনও নৌকায়।
গজঃ গজ বা হাতি হল শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন বা গমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়।
দোলাঃ দোলা অর্থাৎ পালকি হল মহামারী বা মরকের প্রতীক।
ঘোটকঃ ঘোটক বা ঘোড়ার অর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির এলোমেলো অবস্থা। যুদ্ধ-বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লব ইত্যাদির সংকেত দেয়।
নৌকাঃ নৌকা বন্যার প্রতীক। আবার অনেকে মনে করেন, নৌকায় দেবী দুর্গার আগমন হলে চারিদিকে ভালো ফসল হয় ।
এবারে মা দুর্গা আসছেন দোলায়। দোলা হল মড়কের প্রতীক। আবার ফিরছেন নৌকায়। নৌকা হল বন্যার প্রতীক। এই বছর দেবী দুর্গার আগমণ ও গমন দুটোর অর্থই খুব অশুভ। শুধু মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করা আর ধরণীর কিছু খারাপ না হয়৷ তাড়াতাড়ি সেড়ে উঠুক বিশ্ববাসী।