30 C
Kolkata
Thursday, May 16, 2024

২০২১ সালে শিশুরা বেশি কনটেন্ট আপলোড করেছে

Must Read

করোনা মহামারী আমাদেকে ইন্টারনেট, অনলাইন এ শব্দগুলোর সঙ্গে একাত্ম করে দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা খেলাধুলা বা অনলাইন ক্লাস সবকিছুর জন্য ইন্টারনেটের ওপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। গ্রুমিং বা বেড়ে ওঠার জন্য অনলাইনে এ নির্ভরশীলতাই নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে শিশু-কিশোরদের। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্যসংস্থা দ্য ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লিউএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইডব্লিউএফের জরিপে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে শিশুদের আপলোড করা কনটেন্টের হার ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া সাত থেকে দশ বছর বয়সী শিশুদের আপলোড করা কনটেন্টের হার তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।শিশু নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওয়েলসভিত্তিক বার্নাদোর সাইমরু সতর্ক করে বলেছে শিশুরা আগের চেয়ে অনলাইনকে আরো বেশি বিশ্বাস করছে। কারন মহামারীর সময় তাদের স্কুল , শিক্ষাজীবন সবকিছুই অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Zelensky Warns: জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন, নতুন করে রাশিয়ান হামলার

গ্রুমিং হলো যখন কোন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং আবেগের সংযোগ তৈরি করা। যার মাধ্যমে তাকে ব্যবহার, শোষণ এবং ভুল পথে নেয়া যায়।বার্নাদোর সাইমরুর শ্যারন ওয়ারহ্যাম বলেছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই গ্রুমিংকে একধরনের বিকাশ হিসেবে বর্ননা করা হয়। কিন্তু আমরা জানি যে অনেক বেশি সংখ্যক শিশুর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।’তিনি আরো বলেন, শিশুদেরকে অনলাইনে বেশি পাওয়ার অর্থ হলো তারা আরো বেশি নির্যাতনের শিকার হবে। পরিচয় গোপন রাখার সুবিধা থাকার কারনে অনলাইনে এ ধরনের হয়রানি খুবই সহজ।মহামারীর ঠেকাতে লকডাউন শিশুদের মধ্যে বিচ্ছন্নতার অনুভূতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে বলে উল্লেখ্য করেছে শ্যারন ওয়ারহ্যাম। বিশেষ করে অল্প বয়সীদের যখন তাদের যৌনজীবন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। তিনি বলেছেন, আমরা দেখতে পেয়েছি যৌন পরিচয় নিয়ে কোন ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হলে তারা অনলাইনের সাহায্য নিতে চায়। এর মূল কারন হচ্ছে তারা অনুভব করে শিক্ষা এবং স্কুলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের মধ্যে এলজিবিটিকিউসহ (শারিরীক বা মানসিকভাবে পুরুষ অথবা নারী নয়, বিশেষ করে সমকামী) এ ধরনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে না। আর এ কারনেই তারা লোকেদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ খোঁজে থাকে।

আরও পড়ুন -  বাড়ছে দাম্পত্য কলহ ! খবরেই মনের মধ্যে এনে দিচ্ছে শারীরিক অবসাদ

আইডব্লিউএফের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ইম্মা হার্ডি বলেছেন, ‘শিশুদের নিজেদের তৈরি করা তথাকথিত কনটেন্ট নিয়ে অনেক উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। এখানে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে শিশু নির্যাতনকারীদের নিশানায় পরিণত হয় শিশুরা। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো আমরা দেখতে পেয়েছি সাত থেকে ১০ বছরের শিশুরা এরসঙ্গে বেশি যুক্ত। আমরা দেখতে পাচ্ছি ছোট ছোট বাচ্চারা এই বিপজ্জনক ইন্টারনেট অপরাাধীদের শিকার হচ্ছে। কোভিড মহামারীর কারনে শিশুরা ইন্টারনেটে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট জীবনের অতি প্রয়োজনীয় হলেও এটি শিশুদেরকে আরো দূর্বল করে দিচ্ছে।তিনি আরো বলেন, ‘শিশু নির্যাতনকারীরা এ সুযোগের জন্য ওৎ পেতে থাকে । এ বিষয়ে অভিভাবকদের আরো সতর্ক হতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে আরো বেশি প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে হবে যাতে করে তারা জানে যে কিভাবে কথা বলতে হবে।’

আরও পড়ুন -  মা কল্যানেশ্বরী মন্দিরে পূজো দিয়ে প্রচার করলেন বিজেপি প্রার্থী অরিজিৎ রায়

সূত্রঃ   বিবিসি

Latest News

Bhojpuri: রোমান্সের তুফান কাজল রাঘওয়ানির সঙ্গে খেসারি লাল যাদব, ভিডিওটি দারুন লোভনীয়

Bhojpuri: রোমান্সের তুফান কাজল রাঘওয়ানির সঙ্গে খেসারি লাল যাদব, ভিডিওটি দারুন লোভনীয়।  ভোজপুরী ভিডিও সং। ভোজপুরী ভিডিও সং: সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং...
- Advertisement -spot_img

More Articles Like This

- Advertisement -spot_img