খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতই অন্যতম দেশ যে পুনর্নবীকরণ শক্তিক্ষেত্রে ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে। শক্তিক্ষেত্রে উন্নয়নের গতি বিবেচনা করে ভারত এখন কেবল তার নির্ধারিত লক্ষ্যই অর্জন করেনি, প্রতিশ্রুতি মতো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তার দায়িত্বও পালন করেছে। নতুন ও পুনর্নবীকরণ শক্তি মন্ত্রক এবং শক্তি, পরিবেশ ও জল পর্ষদ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আজ “এক বিশ্বমানের হাইড্রোজেন ভিত্তিক অর্থনীতি নির্মাণের জন্য বহুপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গী” শীর্ষক ওয়েবিনারের ভাষণে একথা জানান কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও নতুন ও পুনর্নবীকরণ শক্তিমন্ত্রী শ্রী আর কে সিং।
অনুষ্ঠানের ভাষণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারত শক্তিক্ষেত্রে পরিবর্তনে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী নয় এমন ক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শ্রী সিং বলেন, আগামীদিনও ভারত এই ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, দেশ ১০০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ শক্তি উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করার মাইলফলক অর্জন করা হয়েছে, যা এক গর্বের বিষয়। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে এর লক্ষ্যমাত্রা ৪৫০ গিগাওয়াট রাখা হয়েছে। শ্রী সিং আরও বলেন, ব্লুমবার্গ ভারতকে পুনর্নবীকরণ শক্তিক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অনুষ্ঠানে নতুন ও পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভগবন্ত খুবা, মন্ত্রকের সচিব সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক নীতির ওপর ভিত্তি করে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্বমানের হাইড্রোজেন ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে বাজার তৈরির জন্য বিনিয়োগের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সূত্রঃ পিআইবি।