33 C
Kolkata
Sunday, May 5, 2024

পেঁয়াজের দাম এবং উপলব্ধতার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ

Must Read

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে পেঁয়াজের দাম ক্রমশই উর্ধ্বমুখী রয়েছে। এই দামের ওপর লাগাম টানতে একাধিক কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর ড্যাশ বোর্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক দিন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এই উর্ধ্বমুখী দামের প্রবণতা বন্ধ করার জন্য দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী (সংশোধনী) আইন ২০২০ অনুযায়ী অতিরিক্ত সাধারণ মূল্য বৃদ্ধির আওতায় মজুত সীমা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আসা হয়েছে। ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত সাড়া ভারতবর্ষে একেক জায়গায় পেঁয়াজের একেক খুজরো দাম পরিলক্ষিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পেঁয়াজের দাম প্রায় ২২.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে গত বছর খুজরো বাজারে কেজি পিছু পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা ৩৩ পয়সা ছিল, সেখানে এখন তা বেড়ে ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা হয়েছে। এই হিসেব অনুযায়ী গত ৫ বছরে খুজরো বাজারে পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রে ১১৪.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, পেঁয়াজের মজুতের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া গেছে। পাইকারি বিক্রেতা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবে। অন্যদিকে, খুচরো বিক্রেতা এই সময়সীমা পর্যন্ত ২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবে।

আরও পড়ুন -  TRP BANGLA: সিরিয়াল ময়দানে ‘অষ্টমী’ ও ‘পর্ণা’ ঝোড়ো ব্যাটিং চালাচ্ছে, টিআরপি তালিকায় এখন কে কোথায় রয়েছে?

দাম বৃদ্ধির প্রবণতার দিকে লক্ষ্য রেখে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সরকার খরিফ মরশুমে পূর্ব এশীয় দেশগুলিতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা লাগাম টানা যায়। তবে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের পেঁয়াজ উৎপাদিত জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টিপাতের খবরে খরিফ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন -  Swastika Mukherjee: অস্বস্তি-আফসোস নেই স্বস্তিকার, বিয়ে নিয়ে

আবহাওয়া সংক্রান্ত এই খবরের জেরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার পেঁয়াজের বাফার্স স্টকের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছরের তুলনায় এবছরে বাফার্স স্টকের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।

খোলা বাজারে যাতে আরও বেশি করে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হয় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পেঁয়াজের দামে অনেকটাই লাগাম পড়ানো গেছে। খরিফ ফসল মান্ডিতে আসতে শুরু করেছে। অনুমান করা যায়, খুব শীঘ্রই মান্ডিগুলিতে ৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হবে। এর ফলে, পেঁয়াজের উপলব্ধতা আরও সহজ হয়ে উঠবে। পেঁয়াজ আমদানি সুনিশ্চিত করে তুলতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশন যোগাযোগ রেখে চলেছে। ভারতীয় বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে যাতে তা দ্রুত সঠিক জায়গায় পৌঁছে যায় তার জন্য সরকার কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বেসরকারি ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির সুবিধা প্রদান ছাড়াও সরকার এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবার থেকে চাহিদা ও ঘাটতির পার্থক্য পূরণ করতে লাল পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবে। অসাধু ব্যবসায়ী, কালোবাজারি রোধে এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে ১৯৮০ সালের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রি আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট এবং তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

Latest News

সেই আমি আমার মতো

সেই আমি আমার মতো।  আমার স্বপ্ন জ্বলে। চিরকাল পালন করি, আমি স্বপ্ন দেখি। চিরকাল পালন করি,আমি স্বপ্ন দেখি, মনের কথা বলে, কবিতা...
- Advertisement -spot_img

More Articles Like This

- Advertisement -spot_img