দিল্লীতে জুন মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিড কন্ট্রোল (এনসিডিসি) সেরো-প্রিভ্যালেন্স সমীক্ষা চালিয়েছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দিল্লীতে একটি সেরো-প্রিভ্যালেন্স সমীক্ষা চালিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিড কন্ট্রোল (এনসিডিসি), জাতীয় রাজধানী অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই সমীক্ষা করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি চালানো হয়।

দিল্লীতে ১১টি জেলায় সমীক্ষক দল গঠন করা হয়েছিল যাঁরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহী হয়েছিলেন তাঁদের থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ দ্বারা স্বীকৃত কোভিড কবচ অ্যালাইজা ব্যবহার করে নমুনাগুলির সেরা পরীক্ষা করে দেখা হয়, সেখানে আইজিজি অ্যান্টিবডি এবং সংক্রমণের কোনো লক্ষণ আছে কিনা। অ্যালাইজা পদ্ধতিতে দেশে এটি সর্ববৃহৎ সেরো-প্রিভ্যালেন্স সমীক্ষা।

আরও পড়ুন -  Kaushambi Chakraborty: উন্মুক্ত ক্লিভেজ, এবার সাহসী ছবি শেয়ার আদৃত-প্রিয়া কৌশাম্বীর

গবেষণাগারের পরীক্ষার নিয়ম মেনে ২১,৩৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাধারণ ভাবে মোট জনসংখ্যার কতজনের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে , তা এই সমীক্ষা থেকে শনাক্ত করা গেছে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সার্স-কোভ-২ এর সংক্রমণ কতজনের মধ্যে ছড়িয়েছে সেটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া౼ কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করা নয়।

সমীক্ষার অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে সেরো-প্রিভ্যালেন্স-এর মত অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়েছে। এর ফলে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন -  Ananya Das: ভিলেন মেঘা নায়িকার থেকেও বেশি সুন্দরী, বোতাম খোলা শার্টের ফাঁকে অন্তর্বাস দেখিয়ে ভাইরাল

সেরো-প্রিভ্যালেন্স সমীক্ষার ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে দিল্লিতে আইজিজি অ্যান্টিবডির প্রাদুর্ভাব মোট জনসংখ্যার ২৩.৪৮%। এই পরীক্ষায় আরো দেখা গেছে এখানের বেশির ভাগ মানুষেরই লক্ষণহীন সংক্রমণ হয়েছে। এর মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, তা হলঃ-

১। এই মহামারী শুরু হওয়ার প্রায় ছয় মাস পরে দিল্লিতে মাত্র ২৩.৪৮% মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। দিল্লি শহরের অনেক জায়গা জনবহুল। কিন্তু দ্রুত লকডাউন কার্যকর করা, কন্টেনমেন্ট এলাকা সহ সব জায়গায় নজরদারী চালানো, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে কেউ আসলে তাঁকে শনাক্ত করার মত সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসাধারণ যে ভাবে কোভিড সংক্রান্ত নিয়মাবলী পালন করছে, তাতে সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  দেওয়াল লিখন

২। অবশ্য মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এই সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন । এ কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যা যা করণীয় সেগুলি পালন করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস কভার ও মাস্ক ব্যবহার করা, নিয়মিত হাত ধোয়া, হাঁচি কাশির সময় যথাযথ নিয়ম মানা, জনবহুল এলাকায় না যাওয়ার মত চিকিৎসা বহির্ভূত নিয়মকানুনগুলি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। সূত্র – পিআইবি।