China: বিস্ফোরক মন্তব্য জিনপিংয়ের, হংকং-তাইওয়ান নিয়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

২০তম সম্মেলন শুরু হল বেজিংয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে দেশ-বিদেশ থেকে উপস্থিত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি অতিথি।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিনেই মঞ্চে উঠে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, হংকংয়ের উপরে নিন্ত্রয়ণ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে চীন। বিশৃঙ্খলা রুখে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সুশাসনের। তাইওয়ানেও সেইরকম ভাবেই নিন্ত্রয়ণ অর্জন করতে সক্ষম হবে চীন।

পাঁচ বছর অন্তরই চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গণসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আজ থেকেই শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ২০ তম সম্মেলন। প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিনপিং মঞ্চে উঠতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে বেজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপল। সম্মেলন অনুষ্ঠান থেকেই তৃতীয়বারের জন্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে জিনপিংকে নির্বাচিত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Chinese balloon: সেন্সর উদ্ধারের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, চীনা বেলুনের

উদ্বোধনী ভাষণে তাইওয়ান ইস্যুতে শি বলেন, চীন তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধেও একটি বড় সংগ্রাম চালিয়েছে এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধিতা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সক্ষম। তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে কী করা হবে, তা সম্পূর্ণভাবেই চীনের মানুষের উপরে নির্ভর করছে। তাইওয়ানের ওপর বলপ্রয়োগের অধিকার চীনের আছে, তবে বেইজিং আন্তরিকতা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব, শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দেব না।

আরও পড়ুন -  Divinity: দিব্যাজ্ঞন সংস্থার সতর্কতা সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন

চীনের করোনা নীতি, যা নিয়ে গোটা বিশ্বেই সমালোচনা হয়েছে, তা নিয়েও মুখ খোলেন জিনপিং। তিনি বলেন, চীনের কঠোর কোভিড নীতি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে এর ইতিবাচক ফলও পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন -  German Chancellor: চীনকে, জার্মান চ্যান্সেলরের অনুরোধ, রাশিয়ায় অস্ত্র না পাঠাতে

দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, বিশ্বায়ন নিয়েও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, বেইজিং সক্রিয়ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে অংশগ্রহণ করবে। আগামিদিনে চীন কয়লার স্বচ্ছ ব্যবহারের উপরও জোর দেবে। একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোর অভিযান চালানো হবে। দেশের অর্থনীতি ও মিলিটারির জন্য যারা ক্ষতিকর, তাদের নির্মূল করা হবে। বিশ্বমানের সামরিক শক্তি গড়ে তুলবে চীন। অর্থনৈতিক উন্নতি ও আধুনিক সামাজিক ক্ষমতা তৈরির জন্য আগামী ৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্রঃ রয়টার্স, আলজাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।