Twin Towers: টুইন টাওয়ার, মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেয়া হলো

Published By: Khabar India Online | Published On:

উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে অবস্থিত টুইন টাওয়ার খ্যাত ‘সুপারটেক’ টুইন টাওয়ার ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হল। বিতর্কিত এই বহুতল ভবন দুটির নাম অ্যাপেক্স এবং সিয়ান।

রবিবার দুপুর আড়াইটায় বিতর্কিত বহুতল ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

 এই ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ভবনগুলো মাটিতে মিশে যায়। দুটি ভবনের স্তম্ভে প্রায় ৭ হাজার ছিদ্রের ভেতর বিস্ফোরক ঢোকানো হয় এবং ২০ হাজার সার্কিট স্থাপন করা হয়। বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের অবকাঠামো ও মানুষজনের যাতে ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কতৃপক্ষ।

আরও পড়ুন -  Bus Ticket Online: আর খুচরো চাওয়া নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না কন্ডাক্টারের, বেসরকারি বাসে স্ক্যান করে টিকিট কাটা যাবে

সুপারটেক এমেরাল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে নির্মাণটি অবৈধ বলে মামিলা দয়ের করেন। আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে সুপারটেক গ্রুপ আরও ফ্ল্যাট বিক্রি করতে এবং তাদের লাভের মার্জিন বাড়ানোর জন্য নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। দুটি ভবনের মধ্যে ন্যূনতম জায়গা ছাড় না রাখার অভিযোগ করেন।

বিধি লঙ্ঘন করে ভবন দুটি নির্মাণের প্রমাণ পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি টাওয়ার ৪০ তলা করে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে আদালতের আদেশের কারণে কিছু তলা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দেয়ার আগেই কিছু ভবন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভেঙে ফেলা হয়। দুটি টাওয়ারের মধ্যে অ্যাপেক্স টাওয়ারে এখন ৩২টি তলা আছে আর সিয়ান টাওয়ারে আছে ২৯ তলা।

আরও পড়ুন -  নামতে গিয়ে পর্বতারোহীর মৃত্যু, অক্সিজেন ছাড়া

প্রায় নয় বছর আইনি লড়াই শেষে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ আবাসন আইন অনুসারে ফ্ল্যাট মালিকদের সম্মতি ছাড়াই বেআইনিভাবে ভবন দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বেআইনি কাজের জন্য নয়ডা কর্তৃপক্ষ এবং সুপারটেকের মধ্যে আঁতাত তৈরি হয় বলেও রায়ে মন্তব্য করেন আদালত।

আরও পড়ুন -  Actress Sonam Kapoor: ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা চুরি সোনমের

সুপ্রিম কোর্ট টাওয়ারগুলো ভাঙতে তিন মাস সময় দিলেও প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে এক বছর লেগে যায়। এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের সাথে চুক্তি করেছে যারা তিন বছর আগে জোহানেসবার্গে একটি ব্যাংক ভবন ধ্বংসের অংশ ছিল।