অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কার সদ্য পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলেও দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। তিনি তার পদত্যাপত্রে এসব কথা বলেছেন। তার পদত্যাগপত্রটি শনিবার (১৬ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে পড়ে শোনানো হয়।
পার্লামেন্টে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন আহ্বান করা হলে সংসদের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক স্পিকারের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্রটি পড়ে শোনান।
চিঠিতে সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে কোভিড মহামারি সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করে। তিনি সে সময়ে শ্রীলঙ্কাকে মহামারি থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালান এবং তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন যে ২০২০ ও ২০২১ সালে লকডাউন কার্যকর করার মাধ্যমে, দেশ বৈদেশিক মুদ্রা হারায় এবং অর্থনীতি ধসে পড়ে। যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
রাজাপাকসে আরও বলেন যে, তিনি সংকট মোকাবিলায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহায়তা করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতা ও জনগণের অনুরোধের পরে, ১৪ জুলাই ২০২২ থেকে তার পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি অতীতের মতোই তার জন্মভূমির সেবা করে যাবেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ জুলাই) মধ্যরাতে তিনি দেশ ত্যাগ করেন। ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছান রাত ৩টার দিকে। এরপর সেখান থেকে সিঙ্গাপুর চলে যান। মালদ্বীপ থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি প্লেনে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান গোতাবায়া। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই দেহরক্ষী।
সিঙ্গাপুরের সরকার জানিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত ভিসায় তাকে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে গোতাবায়া সিঙ্গাপুরেই থাকবেন নাকি অন্য কোথাও যাবেন সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
সূত্র: কলম্বো গেজেট।