শেখ হাসিনার বিস্ফোরক অভিযোগ, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেশ বিক্রি করছেন মুহাম্মদ ইউনূস”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের তীব্র ঝড়
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তাল। সম্প্রতি একটি অডিও বার্তায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, এবং মৌলবাদের পুনরুত্থান নিয়ে তাঁর মন্তব্যে তৈরি হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
শেখ হাসিনার দাবি, মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঁতাঁত করে বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউনূস সরকার গঠনের পর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর সহায়তায় ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন এবং বন্দি মৌলবাদীদের মুক্তি দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন। এতে দেশের ভেতরে মৌলবাদী শক্তির পুনরুত্থান স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এটি গণতন্ত্রের উপর এক গুরুতর আঘাত।
অতীত স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্কিন চাপে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ইউনূসের বর্তমান অবস্থান দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। এর পর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া একজন ‘চিফ অ্যাডভাইজার’-এর ক্ষমতা গ্রহণ সম্পূর্ণ অবৈধ।
এই প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:
• দেশের প্রশাসন কি মৌলবাদ দমন করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে?
• আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা কি গণতন্ত্রের পরিপন্থী?
• মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক সুনাম কি তাঁর পদে থাকার জন্য যথেষ্ট যুক্তি?
এই সব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। তবে একথা স্পষ্ট, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে সব মহলকে।