বুমরাহের ছোটবেলা নিয়ে মুখ খুললেন ‘মা’।
টি২০ বিশ্বকাপের ট্রফি এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে। সেই থেকেই একটি নাম খুব শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন, , ‘বুম বুম বুমরাহ’। জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) চোখের মণি হয়ে উঠেছেন। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। এখন একটি কথা প্রচলিত হয়ে গিয়েছে, উইকেট দরকার হলেই বুমরাহ সমাধান করে দেবেন।
সংগ্রাম কেমন ছিল?
এই ক্রিকেট মহাতারকার ছোটবেলায় জীবনটা কেমন ছিল? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এ বিষয়ে মুখ খোলেন বুমরাহের ‘মা’ সাংবাদিক দীপল ত্রিবেদী। সম্প্রতি বুমরাহ ও তাঁর পরিবারের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে দীপল জানান, এমন দিনও গিয়েছে যখন ছোটবেলায় এক প্যাকেট দুধও তাঁরা কিনে দিতে পারেননি বুমরাহকে। তাই বলে কখনো অসৎ পথে যায়নি।
তিনি লক্ষ্য স্থির রেখে লড়াই করে গিয়েছেন। সেই লড়াইয়ের জন্য এই পুরস্কার।
খেলার ঝোঁক ছোটবেলা থেকেঃ
দীপল ত্রিবেদীর পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি হচ্ছেন বুমরাহের মায়ের বেস্ট ফ্রেন্ড। হাসপাতালে সদ্যোজাত বুমরাহকে কোলে নেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ছোটবেলাতেই মারা যান বুমরাহের বাবা। ছোট থেকে কখনোই পড়াশোনায় ঝোঁক ছিল না। সস্তা প্লাস্টিকের বল নিয়ে খেলতেই বেশি ভালোবাসতেন তিনি। দীপালি জানান, ছোট থেকেই বুমরাহের লড়াই ছিল কঠিন। একটু দুধ কিনে দেওয়ার টাকা ছিল না। সংসার চালাতে দিনে ১৮ ঘন্টা কাজ করতেন বুমরাহের মা।
আদর্শ বুমরাহঃ
দীপালি লেখেন, বুমরাহ খুব লাজুক বাচ্চা ছিলেন। বেশি কথা বলতেন না। এখন বিশ্বকাপ জেতাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এখন তিনি একজন লেজেন্ড। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত তাঁকে দেখে গর্ববোধ করা ও শেখা। এখনো তিনি সেই আট বছরের ছোট্ট ছেলেটির মতোই নম্র স্বভাবের রয়েছেন।
দীপালি লিখেছেন, অনেকে হতাশায় ডুবে মদ্যপানের মতো বাজে নেশার দিকে ঝুঁকে যায়। তিনি চান না কেউ জীবনে আশা ছেড়ে দিক। তাদের জসপ্রীত বুমরাহ ও তাঁর জীবন সংগ্রাম দেখে শেখা উচিত।