গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত গত বছরের অগস্টে। বহু বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি।
একাধিকবার জামিনের মামলা করেছেন বাবা এবং মেয়ে। আদালত বারবার সেই ‘প্রভাবশালী’ তত্বেই জামিন মঞ্জুর করেনি। তাই ‘অনুব্রত-গড়’ নামে পরিচিত বীরভূম এখন অনুব্রতহীন অবস্থায় আছে।
কিন্তু বীরভূমে মোটেও পিছিয়ে পড়েনি শাসক দল তৃণমূল। বীরভূমে তৃণমূলের হাল ধরতে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় সহ অনেক তৃণমূল নেতারা। বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কাজল শেখের নাম। সেটাই এবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বুধবার রামপুরহাটে আইএনটিটিইউসি’র বিজয়া সম্মিলনীতে বিজেপির নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
সেখানেই তার মুখে শোনা যায় ‘খেলা হবে’ শ্লোগান।
কয়েকমাস পরেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। এই ভোটকে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে সব দলগুলি। এবার সেরকমই মেজাজ দেখা গেল তৃণমূল নেতা কাজল শেখের। বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপিকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে এদিন কাজল শেখ বলেন, “বিরোধীরা যদি নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে ভাবেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন, সেটা হবে না। তখন কথা হবে, দেখা হবে এবং খেলা হবে।” এদিন তার বক্তব্যে অনেকবার অনুব্রত মন্ডলকে ‘আমার নেতা’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গেছে।
এই সভামঞ্চ থেকে কাজল শেখ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের বিজয়রথকে থামিয়ে দেওয়া যাবেনা। এদিন কাজল শেখ বলেন, “যাঁরা আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। নির্বাচনের বাজনা বাজলেই মানুষের পাশে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, অর্থের প্রলোভন দেখান। আর সেই সমস্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গায় পাঠিয়ে দিতে হবে। কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা পরে বলব। নির্বাচনের আগে এসে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করা হলে দেখা হবে, খেলা হবে।”