নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ কামদুনিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা মকুব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কামদুনি মামলা সাজা ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ফাঁসির সাজা মকুব করল আদালত। অভিযুক্ত শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলি – এই তিনজনকে এর আগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বেকসুর খালাস হয়ে গেল আমিল আলি। বাকি দু’জন আনসার আলি ও শরিফুল আলির আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এর পাশাপাশি আরও নিম্ম আদালত আরও তিন অভিযুক্ত এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। এদের মধ্যে এমানুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা রদ করে, তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আমিনুল ও ভোলানাথ ইতিমধ্যেই ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছে। দু’জনকেই ১০ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, আরও তিন মাস জেল খেটে তারপর ছাড়া পাবে আমিনুল ও ভোলানাথ।
ঘটনা প্রায় এক দশক আগের। ২০১৩ সালের জুন মাসের ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা টলিয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। প্রমাণের অভাবে দু’জন আগেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। মামলা চলাকালীন আরও এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে কলকাতার নগর দায়রা আদালত বাকি ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছিল। তিনজনের ফাঁসির সাজা ও বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত।
হাইকোর্টের এদিনের এই রায়ের খুশি নয় গোটা কামদুনি সহ নিহত ছাত্রীর মাও। এদিন রায় ঘোষণার পরই হাইকোর্ট চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা, তার ভাই , দাদা ও কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।