দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি এবং হোটেল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গ্রিসের পর্যটন এলাকা রোডস দ্বীপের বিস্তৃত এলাকা থেকে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, দাবানল দিন দিন ভয়াবহ রূপের আকার নিচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজারের মত মানুষকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব জানায় আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রীক কোস্টগার্ড জানায়, পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপের পূর্বে কিওটারি ও লারডোস সৈকত থেকেও লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোডস মিউনিসিপ্যালিটির কর্মকর্তা টেরিস হাটজিওনউ জানান, কয়েক ডজন বাসের সাহায্যে কোস্টগার্ডের সদস্যরা, সশস্ত্র বাহিনী সাথে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মীরা আগুন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক রাস্তার প্রবেশপথ আগুনে বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার দাবানল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কারও আহত হবার ঘটনা ঘটেনি। তারা বলছে, দ্বীপটির যেসব এলাকা বেশি আক্রান্ত সেখান থেকে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাঁচটি হেলিকপ্টার, ১৭৩ জন দমকল কর্মী ওই এলাকায় কাজ করছেন। তবে আগুনে তিনটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি তার মধ্যে আছে লায়েরমা, লারডোস এবং আস্কলিপিও।
এ সময়টাকে গ্রিসের ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গরম সময় বলে অভিহিত করে শনিবার সতর্কবার্তা দেয় জাতীয় আবহাওয়া ইনস্টিটিউট। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
ন্যাশনাল অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস ইআরটি টেলিভিশনকে জানান, আমরা সম্ভবত ১৬-১৭ দিনের মধ্যে একটি তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাব, যা আমাদের দেশে আগে কখনও এইরকম ঘটেনি।
অপরদিকে জরুরী স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, গত তিন দিনে কমপক্ষে ৩৮ জন হিটস্ট্রোক রোগী পেয়েছেন। তাপ সংক্রান্ত আরও রোগী বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। সেই কারণে মানুষকে প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ছবিঃ সংগৃহীত