বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর পর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্যারিসের শহরতলীগুলো থেকে ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই পেনশন সংস্কারের বিক্ষোভে টালমাটাল হয়েছিল।
বিক্ষুব্ধরা পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি ছুঁড়েছে আন্দোলনকারী। এ ছাড়া শহরের ময়লা ফেলার বিনে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, পুলিশের ভ্যান লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীদের পাথর এবং মোলোটভ ককটেল ছুঁড়তে দেখেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্যারিস শহরে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফরাসি গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, প্যারিস শহরের ২ হাজার পুলিশকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে, বুধবারের তুলনায় ৮০০ বেশি। নান্টেরেতে নজরদারী ড্রোনও ব্যবহার করছে পুলিশ।
বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে ফ্রান্সের টাউন হলসহ দেশজুড়ে বিদ্যালয় এবং থানাগুলোর সামনে ‘চরম সহিংসতার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
পুলিশ বলছে, কিশোরের নাম নাহেল এম। তাকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সে তা অমান্য করায় গুলি করতে তারা বাধ্য হয়েছে। নাহেলের এই হত্যাকে ‘অমার্জনীয় অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়্যেল ম্যাক্রোঁ।
ফরাসি-আলজেরীয় এক পরিবারের সন্তান নাহেল। ২০১৭ সাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে নিহতের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ অথবা আরব, রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমন পরিসংখ্যানের বিষয় উল্লেখ করেছে।
সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ অফিসার গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছেন। একজন তার অস্ত্রটি জানালা দিয়ে চালকের দিকে তাক করছেন। এ সময় কিশোরটি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন কাছ থেকে পুলিশ গুলি করা হয়।
সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত