আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন সের্হিও রামোস ৩৬ বছর বয়সে। ২০০৫ সালে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয় ডিফেন্ডারের। জাতীয় দলের হয়ে ১৮০টি ম্যাচ রামোস গোল করেছিলেন ২৩টি।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই স্পপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ লড়াকু রামোসকে ছাড়াই দল গড়েছিলেন তৎকালীন হেড কোচ লুইস এনরিকে।
বাদ যাওয়ার ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। বুঝে গিয়েছিলেন যে জাতীয় দলে তার পক্ষে আর ফেরা সম্ভব নয়। সে জন্যই সরে দাঁড়ালেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে রামোস লিখেছেন, ‘জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে। কারণ সকালে আমাদের জাতীয় দলের কোচ ফোন করে বলেন যে, বয়সজনিত কারণে আমি আর এই দলে উপযুক্ত নই। যদিও আমি বয়সকে গ্রাহ্য করি না। কিন্তু কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া ছাড়া তো উপায় নেই। কারণ দেশ সবার আগে। তাই বিদায় জানালাম।’
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে লুইস এনরিকে বাদ দিয়ে স্পেনের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় দি লা ফুয়েন্তেকে। সামনে নরওয়ে এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ২০২৪-এর বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে স্পেন।
সরাসরিই জানিয়ে রামোস লিখেছেন, ‘আমি বিনীতভাবে বিশ্বাস করি, আমার এ ক্যারিয়ারের শেষটা হওয়া উচিত ছিল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে। আমার পারফরম্যান্স জাতীয় দলের মানের নয়, এমন কারণে। কিন্তু এটি আমার বয়স বা এমন কারণে শেষ হবে, সেটা ভাবিনি। তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি, তবে আমার মনে হয়েছে এমনই।’
রামোস লিখেছেন, ‘তরুণ বা কম তরুণ হওয়া কোনোভাবেই গুণ বা ত্রুটি নয়। এটা শুধু ক্ষণস্থায়ী একটি বৈশিষ্ট্য, যেটির সঙ্গে পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের সম্পর্ক থাকতেই হবে, এমন কোনো ব্যাপার নেই। আমি মদরিচ, মেসি, পেপে-তাদের প্রশংসা করি বা ঈর্ষা করি। ফুটবলের এই ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, যোগ্যতা এবং সুবিচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ক্ষেত্রে এমন হবে না। কারণ, ফুটবল সব সময় ন্যায্য নয়, ফুটবল কখনোই শুধু ফুটবল নয়।’
স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে র্যামোস হলেন একমাত্র ফুটবলার যিনি সর্বাধিক ১৮০টি ম্যাচ খেলেছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।
ছবিঃ সংগৃহীত