জনি ডেপের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি নোট শেয়ার করেছেন প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এটি আর চালিয়ে নিতে চান না। কিন্তু সেখানে মীমাংসার কোনো শর্তাদি প্রকাশ করেননি অ্যাম্বার।
নোটে অ্যাম্বার লিখেছেন, ভার্জিনিয়ায় আমার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য অনেক চিন্তা-ভাবনার পর খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মামলাটি থেকে রেহাই চাই। এটা সত্য যে, আমি কখনই এটি বেছে নেইনি। আমি সত্যকে রক্ষা করতেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এটা করতে গিয়ে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হয়েছি, সেটি আধুনিক যুগে নারীদের প্রতি নির্মমতার নতুন সংস্করণ। এখন আমার এমন কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ আছে, যা আমি ছয় বছর আগে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিছু শর্তে আমি সম্মত হতে পারি।
আমেরিকার বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক বেশি সম্মানের সঙ্গে মামলা লড়া যায়। সেখানকার বিচার পদ্ধতিও সঙ্গত এবং সত্যনিষ্ঠ।
তিনি বলেন, যখন আমি যুক্তরাজ্যের একজন বিচারকের সামনে দাঁড়ালাম, তখন আমি একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা পেয়েছিলাম। সেখানে আদালত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিল যে আমি পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছি। আমেরিকায় সেই ন্যায্যতা পাইনি।
ভার্জিনিয়া আদালতের বিচারক জুড়ি মামলার রায়ে জনি ডেপকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার রায়ে অটল থাকলে মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেন অ্যাম্বার।
জনি এবং অ্যাম্বার ২০১৫ সালে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের মে মাসে অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করত, যখন নেশায় থাকত।
বহুল আলোচিত এই মানহানি মামলায় অ্যাম্বার হার্ডেকে দোষী করে রায় দেন আদালত। ফলে ডেপকে ১০.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় অ্যাম্বার হার্ডকে। মামলায় পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের অর্থের জরিমানা গুনতে হবে অ্যাম্বার হার্ডকে, যা এই মুহূর্তে অ্যাম্বারের জন্য খুব কঠিন ছিল।
ফাইল ছবি