১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার পর আর কোনও আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে যেতে পারেননি। পারবেন কি মেসি? সকলের মনে এই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে।
একটি ধাপ পেরোতে পারলেই কেল্লা ফতে। ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটবে আর্জেন্টিনার। শেষের এই ধাপ বেশ কঠিন। ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দল। কাতার বিশ্বকাপে তারাই সব থেকে বেশি শক্তিশালী দল। আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাড়াঁন। ‘ব্যাক টু ব্যাক’ জয় নিয়ে।
কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরু, আঁতোয়া গ্রিজমানদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচটি হবে কঠিন লড়াই। লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ, রদ্রিগো দি পলরা ছন্দে রয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্স অন্যরকম, বলছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বকাপের সবচেয়ে কম বয়সী কোচ আর্জেন্টিনার স্কালোনি। তিনি যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ফাইনালের আগে তিনি ‘তিন’ ছকে প্র্যাকটিস করালেন। ফরাসি কোচিং স্টাফদের ধোকা দেওয়া যায়। দল মাঠে নামার আগে পর্যন্ত বিপক্ষকে কিছুই বুঝতে দিতে চান না স্কালোনি।
দোহার কাতার ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা। ২৬ জনকে নিয়েই প্র্যাকটিস করালেন স্কালোনি। দি মারিয়া পুরোপুরি ফিট। ফাইনালে তাকে পুরো সময় খেলাতে পারেন কোচ। কার্ডের সমস্যা নেই মার্কোস আকুনিয়া ও গঞ্জালো মনতিয়েলের। নিকোলাস তালিয়াফিকো সেমিফাইনালে যা পারফর্ম করেছেন তাকে আকুনিয়ার বদলে ফাইনালে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৫–৩–২ ছকে প্রথম ধাপের অনুশীলন করালেন স্কালোনি। মলিনা ও আকুনিয়া এই ছকে উইঙ্গার। ৪–৩–৩ ছকে দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন। সাধারণত এই ছকেই খেলে আর্জেন্টিনা। তবে শেষে ৪–৪–২ ছকেও প্র্যাকটিস করিয়েছেন স্কালোনি। ছকে লিয়ান্দ্রো পারেদেস বাড়তি মিডফিল্ডার।
আর্জেন্টিনা একাদশের ফরমেশন
৪–৪–২, মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), মোলিনা/মনতিয়েল, রোমেরো, ওতামেন্দি, আকুনিয়া, দি পল, ফার্নান্দেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, দি মারিয়া, মেসি এবং আলভারেজ।
৪–৩–৩, মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), মোলিনা/মনতিয়েল, রোমেরো, ওতামেন্দি, আকুনিয়া, দি পল, ফার্নান্দেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, দি মারিয়া/পারেদেস, মেসি ও আলভারেজ।
ছবিঃ সংগৃহীত