কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ নতুন বলে হবে। বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। যার মধ্যে দু’টি সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থানের ম্যাচ এবং ফাইনাল।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর নতুন বল দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়বে আর্জেন্টিনা।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বলের কাঠামো বা অন্য কোনও ব্যাপারে বদল আনা হয়নি। শুধু নকশায় সামান্য বদল এসেছে। শেষ চারটি ম্যাচের বলে সোনালি আভা দেখতে পাওয়া যাবে। নতুন বলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আল হিম’, যার অর্থ স্বপ্ন।
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলোর ম্যাচগুলো খেলা হয়েছে আল রিহলা বলে। রিহলা বলের মতো ‘আল হিম’ বলেও সেমি-অটোমেটেড প্রযুক্তি থাকবে।
প্রতিবার বলের নকশা পাল্টায় ফিফা। এই বার তার ব্যতিক্রম হল না। রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ‘আল রিহলা’ নামের সেই বলের ভেতরে রয়েছে সেন্সর, যা প্রচুর তথ্য সরবরাহ করছে ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে। ভোরের দিকে বা বিকেলে মরুভূমির যে রং দেখা যায়, তার আভা দেখতে পাওয়া যাবে এই বলে। রয়েছে কাতারের পতাকার নকশাও। বিশ্বকাপের ট্রফির রংও সেখানে আছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকায় এবার অনেক সুবিধা হয়েছে। কঠিন অফসাইডের সিদ্ধান্তও বলের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সহজেই দেওয়া যাচ্ছে। এই বলকে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো চার্জ দিতে হয় ম্যাচের আগে। বল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আল রিহলার মতো আল হিলমের সরবরাহকারীও অ্যাডিডাস। আল রিহলা অর্থ ভ্রমণ। কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও পতাকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে। বলটির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। সেই ১৯৭০ সালের আসর থেকে ফুটবল বিশ্বকাপে বল জোগান দিয়ে আসছে তারা।
বলটি নিয়ে এডিডাস ফুটবলের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, বিশ্বকে একত্রিত করার জন্য খেলাধুলা ও ফুটবলকে আলোর বাতিঘর হিসেবে উপস্থান করবে আল হিলম।
ছবিঃ ইন্টারনেট।