ব্রাজিলেরর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পায়ের পাতায় চোট বেশ গভীর। লিগামেন্ট ড্যামেজ হয়েছে তার।
নক আউট তো বটেই, কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে এমনকি, ফাইনাল খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা।
ব্রাজিলের ‘পোষ্টার বয়’নেইমারকে ঘিরে যখন আশঙ্কার কালো মেঘ, তার বাবার আশা বিশ্বকাপের ফাইনালটা অন্তত খেলুক তার ছেলে। নেইমার যদি বিশ্বকাপে আর খেলতে না পারেন, তা হলে যে তিতের টিম চাপে পড়ে যাবে। চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন নেইমার।
বাবা নেইমার স্যান্টোস সিনিয়র তার ছেলের চোটের খবর ভালো করেই জানেন। তাই বলেও দিচ্ছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারে। সেরা ছন্দেই দেখা যেতে পারে। আগেও নেইমার চোট পেয়েছে। তখনো কিন্তু চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে সেরা ছন্দেই নিজেকে মেলে ধরেছিল।
কাতার বিশ্বকাপ হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন নেইমার। তাই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেতে চাইছেন। তার চোট কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছে দলকে। নেইমারও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।
নেইমার সিনিয়রের ভাষ্য, বাবা হিসেবে ছেলের প্রতি যে অসীম স্নেহ থাকবে, তাতে আর আশ্চর্য কী! তবে নেইমার সম্পর্কে এই মুহূর্তে কিছু বলা বেশ কঠিন। সবাই জানে, বিশ্বকাপে নেইমারের উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে নেইমার থাকলে তার প্রভাব পড়েই। ওর টিমও প্রভাবিত হয়।
ব্রাজিল টিমের মতোই নক আউটের শুরুর দিকে নেইমারকে দেখতে পাচ্ছেন না তার বাবা। সিনিয়র নেইমারের স্পষ্ট বক্তব্য, আমার বিশ্বাস, ফাইনালে নেইমার খেলতে পারবে। টিমের সঙ্গে সেরাটাই দেবে, যাতে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিততে পারে।
ব্রাজিল কি নেইমারকে ছাড়াই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে? চোটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ব্রাজিল শিবিরে। তার উপর সেরা দলগুলোর বিপক্ষে এখনো নামেনি ব্রাজিল। কঠিন প্রতিপক্ষ পেলে কী করবে তিতের টিম,সেটাই দেখার।
ছবিঃ ইন্টারনেট।