অ্যাপ স্টোর থেকে টুইটারকে ব্লক করার হুমকি দিয়েছে আইফোনের উদ্ভাবক ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) একাধিক টুইটে জায়ান্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির নতুন মালিক ও সিইও ইলন মাস্ক অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
কী কারণে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফোন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টুইটারকে এমন হুমকি দিয়েছে তা পরিষ্কার করেননি ইলন।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে বলে, সোমবার ইলন অভিযোগ তোলেন, অ্যাপল টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। টুইটারের বিষয়বস্তু বা কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও চাপ দিচ্ছে অ্যাপল।
এক টুইটে ইলন লেখেন, টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া একপ্রকার বন্ধই করে দিয়েছে অ্যাপল। তারা কি যুক্তরাষ্ট্রের বাকস্বাধীনতা ঘৃণা করে? পরে অ্যাপলের সিইও টিম কুককে ট্যাগ করে দেওয়া আরেকটি টুইটে তিনি অ্যাপলের মধ্যে কী চলছে, তা জানতে চান। ইলনের প্রশ্নের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি অ্যাপল।
বিজ্ঞাপন পরিমাপ সংস্থা পাথমেটিকসের এর তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল চলতি মাসের ১০ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত টুইটার বিজ্ঞাপনে আনুমানিক ১ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার খরচ করেছে।
ইলন টুইটার কেনার আগে ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে বিজ্ঞাপন বাবদ অ্যাপলের খরচ হয়েছিল ২ লাখ ২০ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার। টুইটার ইলনের হাতে যাওয়ার পর বিজ্ঞাপন ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি।
জানা যায়, এই বছরের প্রথম তিন মাসে টুইটারে শীর্ষ বিজ্ঞাপনদাতা ছিল অ্যাপল। টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কোম্পানিটি চার কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করে, ওই তিন মাসে টুইটারের মোট আয়ের চার শতাংশেরও বেশি।
গ্যাব ও পার্লারের মতো অ্যাপগুলোকে অ্যাপস্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল। তাই অনেকে বলছেন, অ্যাপস্টোর থেকে টুইটারকে সরিয়ে দেওয়াটা অ্যাপলের জন্য কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা হবে না।
জানা যায়, মার্কিন কনজারভেটিভ সমর্থকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ পার্লার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘ইউএস ক্যাপিটল’ দাঙ্গার পর অ্যাপটিকে অ্যাপস্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল। পরে ওই বছরের মে মাসে অ্যাপ স্টোরে পার্লারকে ফিরিয়ে আনে অ্যাপল। আগে অ্যাপলের চাহিদা অনুযায়ী বেশকিছু সংশোধন আনতে হয়েছিল অ্যাপটিকে।