ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার গ্যাভিন উইলিয়ামসন মঙ্গলবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হুমকির অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মুখে দায়িত্বগ্রহণের ১৫ দিনেরও কম সময়ে পদত্যাগ করেছেন।
গত মাসে নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির এক এমপি’কে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠার পর সমালোচনার মুখে পড়েন।
টুইটারে উইলিয়ামসন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে লেখা একটি চিঠি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি বলছেন তার ক্রিয়াকলাপ সরকারের কাজকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন, তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চিঠিতে উইলিয়ামসন বলেন, আপনি জানেন যে, আমি একজন সহকর্মীকে পাঠানো টেক্সট বার্তাগুলির বিষয়ে একটি চলমান অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। আমি এই প্রক্রিয়াটি মেনে চলেছি, সেই বার্তাগুলির জন্য প্রাপকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমার অতীত আচরণ সম্পর্কে অন্যান্য অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এই দাবিগুলির বৈশিষ্ট্যকে খণ্ডন করি, আমি স্বীকার করি যে এই সরকার ব্রিটিশ জনগণের জন্য যে ভাল কাজ করছে তার জন্য এগুলো একটি বিভ্রান্তি হয়ে উঠছে।
উইলিয়ামসনের চিঠির জবাবে ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, তিনি গভীর দুঃখের সঙ্গে স্যার গ্যাভিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত সমর্থন ও বিশ্বস্ততার জন্য এই কনজারভেটিভ নেতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুনাক।
প্রথমবারের নির্বাচনী প্রচারণায় সুনাককে সহযোগিতা করেছিলেন গ্যাভিন। সুনাক তখন প্রধানমন্ত্রী না হতে পারলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় সফল হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাড়াতে হলো গ্যাভিন উইলিয়ামসনকে। ২০১৯ সালে থেরেসা মে‘র মন্ত্রীসভায় থাকাকালিন যুক্তরাজ্যের ফাইভ–জি নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
সূত্রঃ বিবিসি। ফাইল ছবি।