পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান। মাশা আমিনির মৃত্যু পরবর্তী প্রতিবাদ বিক্ষোভ চতুর্থ সপ্তাহে গড়িয়েছে।
সেই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিলেন ইরানের আবাদান ও কঙ্গান তেল শোধনাগারের কর্মীরা। বুশেহর পেট্রোকেমিক্যাল প্রজেক্টের কর্মীরাও এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বুশেহর প্রদেশের আসালুয়েহ কমপ্লেক্সে ধর্মঘটের খবর প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আবাদান রিফাইনারির ফেজ ২-এর কর্মকর্তা ও কর্মীরা ওয়াক আউট করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা অন্যান্য ভিডিওতে আসালুয়েহের চুক্তি কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায় “এই বছর রক্তের বছর, খামেনি শেষ! একটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘ডাউন উইথ দ্য ডিক্টেটর’ ।
অন্য একটি ভিডিওর বর্ণনাকারী যা দেখায় যে দূরত্বে ধোঁয়া উঠছে এবং শ্রমিকদের জড়ো হচ্ছে, তারা বলেছেন যে, তারা আসালুয়েহ কমপ্লেক্সের রাস্তা অবরোধ করেছে এবং ধর্মঘট করেছে। অন্য ভিডিওগুলিতে শ্রমিকদের একটি মোটরওয়েতে পাথর এবং ধ্বংসস্তূপ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করতে দেখা যায়।
ইরানের তেল মন্ত্রক এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। যথাযথভাবে হিজাব না পরায় ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে তাকে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করেছিল।
প্রথমে বিক্ষোভ ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শুরু হলেও ক্রমে তা দেশটির ৮০টি শহর ও নগরে ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ইরানে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ১৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ ১৮৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে অসলো-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে।
সূত্রঃ রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত।