উয়েফা ন্যাশনস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে।
ইউরো জয়ের পর থেকেই সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না ইতালির। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার হতাশার সাথে মাত্রই কদিন আগে যোগ হয়েছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সাথে ফিনালিসিমায় হার।
মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে ‘এ’ লিগের তিন নাম্বার গ্রুপের ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ন্যাশনস লিগের প্রথম জয় পেলো ইতালি। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানো হাঙ্গেরি এই ম্যাচেও ইতালিকে বেশ ভালো পরীক্ষায় ফেলেছিলো। ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সমানতালে লড়ে গেছে পুসকাসের দেশ। পরপর দুই ম্যাচে হাঙ্গেরির এমন পারফরম্যান্স যেন দলটির সেই সোনালি দিনগুলোকেই মনে করিয়ে দেয়।
ম্যাচজুড়ে মোট ১৭টি শট নিয়েছে ইতালি, যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে হাঙ্গেরির ১২টি শটের ৪টি ছিলো লক্ষ্যে। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় ইতালিকে এগিয়ে দেন নিকোলা বারেল্লা। লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলার পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধ্বের একেবারে অন্তিম মুহুর্তে এসে আজ্জুরিদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লরেঞ্জো পেলেগ্রিনি। ডান দিক দিয়ে হাঙ্গেরির ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন পলিতানো। মাঠের সীমানারেখার একবারে কাছ থেকেই কাটব্যাক করেন তিনি, পেলেগ্রিনি ছুটে গিয়ে সেই বলে পা ছুঁইয়ে জালের ঠিকানা পাইয়ে দেন।
বিরতির পর মাঠে নেমে ইতালিকে কিছুটা ছন্নছাড়াি মনে হয়। এই সুযোগে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের ওপর কিছুটা চড়াও হয় হাঙ্গেরি। চাপের মুখে ফেলে দেয়া ইতালির রক্ষণের ভুলেই গোলও পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ইতালির মানচিনির আত্মঘাতী গোলে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেয় হাঙ্গেরি।
আত্মঘাতী গোল খেয়েই যেন হুস ফিরে ইতালির। হাঙ্গেরিকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে বাকিটা সময় আধিপত্য বিস্তার করেই ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রবার্তো মানচিনির দল।