রিয়ালের এই শিরোপা জয়ের রেকর্ড পাতায় হয়তো সবার আগে লেখা থাকবে একমাত্র গোলদাতা ভিনিসিয়াসের নাম। তবে আজ রিয়ালের ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগে শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার অবশ্যই থিবো কোর্তোয়া। কোর্তোয়ার গ্লাভস যেন আজ হয়ে উঠেছিলো সালাহ-মানেদের সব আক্রমণের হন্তারক। শুধু গ্লাভসই নয়, হাত-পা-বুক-মাথা বা শরীরের এমন কোন অংশ নেই হয়তো যেখান দিয়ে গোল ঠেকাননি থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচের আগে প্রতিশোধের রব তোলা সালাহ যেন আসলেও মাঠে নেমেছিলেন সেটিকে সার্থক করতেই। তবে তার সামনেও বাধা ওই কোর্তোয়া। সালাহর বিধ্বংসী সব আক্রমণ, সাদিও মানের বুলেট গতির শট, অলরেডদের একের পর এক প্রচেষ্টা এসে ব্যর্থ হলো রিয়াল মাদ্রিদের গোলপোস্টের সামনে।
ম্যাচের আগে কোর্তোয়া বলেছিলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ যখন ফাইনালে খেলে, রিয়াল মাদ্রিদই জেতে।’ তখন তার কথাটাকে দম্ভই মনে হলেও এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের পর মনে হয়, কোর্তোয়াকে এমন দম্ভ করতেও বেশ মানায়।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণের ডালি সাজিয়ে বসেছিলো লিভারপুল। তবে অতিমানব হয়ে ওঠা কোর্তোয়ার কল্যাণে সেই আক্রমণে ভেসে না গিয়ে নিজেদের ম্যাচে টিকিয়ে রাখলো মাদ্রিদ। লিভারপুলের আক্রমণের বিপরীতেই প্রথমার্ধ্বের একেবারে শেষে এসে করিম বেনজেমা অবশ্য একটি গোল করে বসে। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয় সেই গোল।
দ্বিতীয়ার্ধ্বেও চিত্রটা বদলায়নি। লিভারপুল আক্রমণ করেই যাচ্ছে, কোর্তোয়া সেগুলো ঠেকিয়েই যাচ্ছে। এই ধারার বিপরীতেই আচমকা এক প্রতি-আক্রমণ থেকে শিরোপা জয়ের ব্যবধানটা গড়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
প্যারিসের স্তাদে দ্য ফ্রান্সে নির্ধারিত সময় থেকে দুই দফা পিছিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১ টা ৩৬ মিনিটে শুরু হওয়া খেলার প্রথমার্ধ্ব শেষে দুই দলই বিরতিতে গেছে ০-০ গোলের সমতা নিয়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ যেন কাউরে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। একেবারে শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়াতে শুরু করে লিভারপুল। রিয়াল কি কম যাবে নাকি? সময়য় গড়ানোর সাথে সাথে লিভারপুলের সাথে সমানে সমানে টক্কর দিতে শুর করে তারাও।