34 C
Kolkata
Wednesday, May 15, 2024

ভ্যালেন্টাইন’স ডে কোন দেশে কী ভাবে পালিত হয় !

Must Read

ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালনে কোনো দেশই পিছিয়ে নেই। প্রিয় মানুষটির সাথে একটু আলাদাভাবে কাটাতে চায়। এ উপলক্ষে বিশ্বের দেশে দেশে নেয়া হয় ব্যতিক্রমী সব আয়োজন। দিবসটিকে ঘিরে একেক দেশের মানুষের প্রস্তুতিও একেক রকম। রীতি-নীতির মধ্যেও আছে পার্থক্য। ‘সায়া সিন টামো’, ‘আই লাভ ইউ’, ‘ইস লিবে ডিস’ বা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলার ধরনও নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। এই দিবসকে কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকেই দেশে দেশে চালু আছে বিভিন্ন ধরনের লোককথা।

ব্রিটেন: ভালোবাসা দিবস বা ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-এর জন্ম এই ব্রিটেনে চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে। তাই ব্রিটেনের উল্লাস একটু বেশিই থাকার কথা। ব্রিটেনে এই দিনটি ব্যাপক আগ্রহ, উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। অন্যান্য দেশের মতো কার্ড, ই-মেইল ও উপহার সামগ্রীর মাধ্যমে প্রিয়জনকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেও ব্রিটিশদের মধ্যে ফুল আদান প্রদানের ঝোঁকটা একটু বেশি দেখা যায়। ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’কে ঘিরে পদ্য লেখাটাও ব্রিটেনের ঐতিহ্যের অংশ।

আরও পড়ুন -  Sohaib Mallik on Sania Mirza: শোয়েব মালিক মুখ খুললেন, ‘এখন তো আর কোনভাবেই একসাথে……’, সানিয়া কি অতীত?

আমেরিকা: ১৯ শতাব্দীতে ব্রিটিশ অধিবাসী প্রথম উত্তর আমেরিকায় ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ধারণা নিয়ে আসে। ১৮৪৭ খ্রীষ্টাব্দের দিকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ছড়িয়ে যায় পুরো আমেরিকায়। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে গিফট কার্ড আদান-প্রদানের রীতি এলো। সে সময় কার্ড এবং গোলাপ ছিল ভ্যালেন্টাইনের মূল উপহার। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ডায়মন্ড কোম্পানিগুলো ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ পালন করা শুরু করে। সেই থেকে জুয়েলারি চলে আসে প্রচলিত গিফটের তালিকায়। ‘ভালোবাসা’ সবচেয়ে আদিম ইমোশন হলেও ভালোবাসা দিবসটিকে আমেরিকায় চরম বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। দেখা গেছে, ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি কার্ড ও উপহার বিক্রি হয়।

জাপান: ভালোবাসা দিবসটি যেন শুধু নারীদের জন্য। প্রতি বছর এ দিনটিতে দেশটির নারীরা কাছের মানুষকে নানা ধরনের চকোলেট উপহার দেন। কে কী ধরনের চকোলেট উপহার দেবেন, সেটা নির্ভর করে পরস্পরের সম্পর্কের ওপর। ‘গ্রি-চকো’ নামের চকোলেট দেয়া হয় অফিসের কর্তাব্যক্তি ও সহকর্মীদের। অন্যদিকে ‘হনমেই চকো’ নামের চকোলেট শুধু পুরুষ সঙ্গী বা স্বামীকে দেয়া হয়। জাপানি নারীরা প্রেমিক বা স্বামীকে যে চকোলেট দেন, সেগুলো কষ্ট করে নিজেরা তৈরি করেন। এ সময় পুরুষরা সাধারণত কোনো ধরনের উপহার দেন না। ভালোবাসা দিবসের ঠিক এক মাস পর জাপানি পুরুষদের জন্য আসে ‘হোয়াইট ডে’। এ দিনে তারা প্রিয় নারীকে ভালোবাসা দিবসে দেয়া উপহারের প্রতিদান দেন।

আরও পড়ুন -  মানুষ আমাদের সাথে আছে, আমি সব সময় মানুষের পাশে ছিলামঃ প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ায় ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এখন একটি বিশাল উত্সব। দিন দিন বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের তরুণ-তরুণীর প্রায় ৯০ ভাগেরও বেশি এবং ৫০-এরও বেশি বয়সীদের প্রায় ৪৫ ভাগের ভ্যালেন্টাইন উদযাপনের প্রস্তুতি চোখে পড়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ানরা এই দিনকে দেখে থাকে পরিবার, বন্ধুবর্গ, সহকর্মী এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও বেশি মজবুত করার দিন হিসেবে।

আরও পড়ুন -  ওএসডি করা হলো বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে, ইমরানকে কারাবাসের সাজা দেয়া বিচারক

ইতালি: ইতালিতে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বসন্ত উত্সব হিসেবে পালিত হয়। এক সময় খোলা আকাশের নিচে নানা ধরনের অনুষ্ঠান হতো। যুবক-যুবতীরা গান, আবৃত্তি শুনত। এরপর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে বাগানে ঘুরে বেড়াত তারা। কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে এই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে ইতালিতে। এখন ইতালিতে আমেরিকার মতো ছুটির দিন থাকে। অনেকটা ‘হ্যালোইন’ আর ‘মাদারস ডে’র মতো। উপহারের তালিকায় থাকে চকোলেট, পারফিউম, গোলাপ আর ডায়মন্ড।

কানাডা: কানাডায় ভালোবাসার বিশেষ দিনটি বেশ উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। সারা দেশে বল ড্যান্স এবং পার্টি থাকে। এদিন প্রিয়জন-প্রিয়জনকে জানায় ভালোবাসার কথা। গোলাপের প্রাধান্য এখানে বেশি। এরপর চকোলেট, কার্ড, ক্যান্ডি তো আছেই। শিশুরা বন্ধুদের সঙ্গে কার্ড বিনিময় করে। নিজের হাতে উপহার বানিয়ে শিক্ষক এবং বাবা-মাকে দেয়। দিনটিকে উদযাপন করতে স্কুলের সিনিয়র সেকশনে থাকে ড্যান্স পার্টি। সূত্র: ইন্টারনেট

Latest News

বিছানার দৃশ্য রয়েছে এই ওয়েব সিরিজে অনেক, একদম বাচ্চাদের সামনে দেখা যাবে না

বিছানার দৃশ্য রয়েছে এই ওয়েব সিরিজে অনেক, একদম বাচ্চাদের সামনে দেখা যাবে না।  এই ওয়েব সিরিজ ১৮+ উদ্ধের জন্য। আজকের...
- Advertisement -spot_img

More Articles Like This

- Advertisement -spot_img