Bally Missing Case: ‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন নেই, অনন্যা-রিয়াকে ভালবাসি’! বিয়ে করতে চান দুই রাজমিস্ত্রি

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজেদের ভালোবাসায় ফিরে পেতে চাইছেন পেশায় দুই রাজমিস্ত্রি ওরফে শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাস। শুধু নিজেদের কাছে ফিরে পেতে নয়, তাঁদের ভালোবাসাকে আইনি পথে পরিণতি দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই দুই প্রেমিক।

বালির দুই গৃহবধূ এবং এক শিশুকে অপহরণের মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর জামিন পেয়েছেন শেখর আর শুভজিৎ। বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন দু’জনেই। আর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁরা বলেন, “রাজমিস্ত্রি বলে কি আমরা মানুষ নই! আমাদের কি মন নেই! আমরাও তো ভালবাসতে পারি!” শেখর এবং শুভজিৎ এদিন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, অনন্যা এবং রিয়া দু’জনকেই তাঁরা ভালবাসেন। যদি ওই দুই গৃহবধূ চান, তা হলে তাঁদের সঙ্গে সংসার পাততেও রাজি আছেন। তবে পুরো আইনি প্রক্রিয়া মেনেই।

আরও পড়ুন -  চার বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু স্কুল বাসে তালাবন্ধ, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নিজের সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বালির নিশ্চিন্দা থানার কর্মকার পরিবারের বধূ রিয়া। সঙ্গে ছিলেন তাঁর জা অনন্যাও।বেশ কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ জানতে পারে বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছেন কর্মকার পরিবারের ওই দুই বধূ। পরে ফেরার পথে তাঁদের চার জনকে আসানসোল স্টেশন থেকে আটক করে পুলিশ। পরে দুই রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। রিয়া এবং অনন্যাকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও তাঁদের আর ‘ঠাঁই’ হয়নি নিজেদের শ্বশুরবাড়িতে। শেষমেশ তাঁরা বাপেরবাড়িতে ওঠেন।

আরও পড়ুন -  Pakistan Floods: বন্যায় মৃত্যু প্রায় ১৫০০, পাকিস্তানে

আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে প্রেমিকাদের সঙ্গে আইন মেনে সংসার পাতার ইচ্ছা জাহির করেছেন মুর্শিদাবাদের ২ রাজমিস্ত্রি শেখর রায় ও শুভজিৎ দাস। গত ২২ ডিসেম্বর বালির ২ বধূ রিয়া ও অনন্যা কর্মকারকে অপহরণের অভিযোগ এনে তাদের ভালোবাসার দোষে গ্রেফতার করেছিল নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। কারামুক্ত হয়ে তাঁরা যে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন নেই। এরপর বালির গৃহবধূদের সংসার ত্যাগ আর ঘরছাড়ার ঘটনায় তাঁদের ২ প্রেমিকের গ্রেফতারিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক সমালোচকরা।

অনেকের প্রশ্ন ছিল, গৃহবধূরা যখন নিজেরাই স্বীকার করছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় যখন ঘর ছেড়েছেন, তাহলে কেন গ্রেফতার করা হল ২ প্রেমিককে। এই একই প্রশ্ন ওঠে আদালতেও। শেষে পুলিশ রিপোর্ট পেশ করে জানান, অপহরণের অভিযোগ ২ যুবকের বিরুদ্ধে কখনোই কার্যকর হয় না। এর পরই গত ৩০ ডিসেম্বর তাদের জামিন দেয় আদালত। আর গরাদ থেকে বেরিয়ে নিজের প্রেম নিয়ে একই রকম প্রত্যয়ী শোনায় ২ যুবাকে।

আরও পড়ুন -  পথে শ্লীলতাহানীর শিকার এক গৃহবধূ

শেখর বলেন, ‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমরা মানুষ না? আমাদের মন নেই? আমরাও তো ভালোবাসতে পারি। আমরা আইন মেনে আমাদের প্রেমিকাদের বিয়ে করে সংসার করতে চাই।’ ওদিকে রাজমিস্ত্রীকে ভালোবাসার অপরাধে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২ বধূর ঠিকানা হয়েছে তাদের বাপের বাড়ি। এব্যাপারে এখনো দুই বধূর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।