খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ সচেতন মানুষ সবসময়ই সর্তক থাকেন শরীর সুস্থ রাখতে নানারকম চেষ্টা করেন। তবে সুস্থ থাকার মানে কেবল শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও ভালো থাকা। শরীর ভালো থাকলে তার চিহ্ন থাকে মনে, আবার মন খারাপ থাকলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। তাই যখনই সুস্থ থাকার প্রসঙ্গ আসবে, শরীর ও মনের যত্নের প্রতি মনোযোগী হবেন।
মনের ইচ্ছের দিকে নজর দিন
আমাদের নিজেদের মনের উপরে বিশেষ খেয়াল দেয়া দরকার। আত্ম-সচেতনতা বাড়িয়ে মনের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো সম্ভব। আত্ম-সচেতনতা এমন এক জিনিস যা মানুষকে তার নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছে-অনিচ্ছা অনেক নিবিড়ভাবে চিনতে সহায়তা করে। নিজের অনুভূতিকে চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে সবচে বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
মানসিক চাপ নেবেন না
জীবন সব সময় একইভাবে মসৃণ চলবে না। কখনো আনন্দ, কখনো বেদনা আসবেই। তাই সত্যিকে সহজে গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুন। কোনো বিষয়ে আশানুরূপ ফল না হলে ভেঙে পড়বেন না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে মানসিক চাপ বাড়াবেন না। বরং হাশিখুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। মানসিক চাপ আরো অনেক অসুস্থতার কারণ। তাই মানসিক চাপ বাড়তে দেবেন না।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ আপনার গ্রহণকৃত খাবার থেকেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর সুস্থ থাকে। অপরদিকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার খেলে তা ডেকে আনে নানা অসুখ। তিনবেলা মূল খাবারের বাইরে খেতে পারেন স্বাস্থ্যকর নাস্তা ও মৌসুমী ফলমূল।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
স্বাস্থ্যকর খাবারের মতোই আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করা। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শরীরচর্চায় মন দিন। এতে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন।
মনোযোগী হওয়া
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন বাধা আসবেই তাহা পরিহার করে চলতে হবে। এছাড়া কাজকর্মে মনোযোগের ব্যাঘাত হলেই তা দ্রুত সারিয়ে তুলুন। সেক্ষেত্রে গান শুনা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া, পরিবারের সবার সাথে আনন্দে মেতে উঠা, প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাঠানো ইত্যাদি। জীবনে চলার পথে ছোট ছোট বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিন।
প্রার্থনা করুন
আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী প্রার্থনায় মনোযোগী হোন। নিয়মিত প্রার্থনা করলে তা আপনার মন ও শরীর ভালো রাখবে। মিলবে মানসিক প্রশান্তি। এতে করে আপনি আরো অনেক ভালো কাজে উৎসাহী হবেন। নিজেকে ভালো রাখার এটি অন্যতম উপায়।
পরোপকারিতা
শুধু নিজের জন্য ভাববেন না। নিজের পাশাপাশি পরিবার, প্রিয়জনদের কথাও ভাবুন। অন্যের উপকার করলে মানসিকভাবে অনেকটাই শান্তি পাবেন। এমন অনেকে আছেন, যাদের আপনার সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের পাশে থাকুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
মন ভালো রাখুন
মনের প্রতি যত্নশীল হোন। মন কী চায় তা ভেবে দেখুন। মনের বিরুদ্ধে কাজ করতে যাবেন না। তবে অনেক সময় মন অযৌক্তিক কিংবা অবাস্তব কিছু চাইতে পারে। তখন মনকে বোঝান। আবেগ ও বিবেকের সমন্বয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন। মন ভালো থাকলে তা আপনার শরীর ভালো রাখতেও সাহায্য করবে।
ভালো ঘুম
ঘুম মানে কিন্তু বিলাসিতা নয়। আমাদের সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য নিয়মিত ঘুম জরুরি। যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমান, তাদের শরীর ও মন ভালো থাকে। অপরদিকে অনিদ্রার কারণে দেখা দিতে পারে আরো অনেক সমস্যা। ঘুম ভালো না হলে কোনো কাজেই মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। তাই সারাদিন কাজের শেষে আপনার শরীরকে যথেষ্ট বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিন।