তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁকে কেন ডাকা হচ্ছে না ? সূর্যকান্ত মিশ্র

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   রাজ্যের নানান মামলায় শাসক দলের একাধিক নেতাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিকে দিল্লীতে ডেকে জেরা করে ED। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তদন্ত নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন করলেন CPM-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

শনিবার একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে মেদিনীপুরে উপস্থিত হন সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখানে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। সরাসরি প্রশ্ন ছোঁড়েন, ‘অনেককে ED-CBI ডাকছে , ডাকুক। কিন্তু যিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, বিধানসভার নেতা হয়েছেন তাঁকে কেন ডাকা হচ্ছে না”? নারদা-সারদা মামলার কথা উল্লেখ না করেই CPM রাজ্য সম্পাদক তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “সাত বছর ধরে এক একটা মামলার তদন্ত হচ্ছে। CBI কোনও রিপোর্ট দিতে পারছে না। তারপর এখন বেছে বেছে ডাকা হচ্ছে। যারা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত তাঁদের সবাইকে ডাকতে হবে।

আরও পড়ুন -  ১৩০০ বিদ্যালয়ের উন্নতির কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং

তা তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেও ডাকতে হবে, বিরোধী দলনেতা হলেও ডাকতে হবে”। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে ভবানীপুর উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সূর্যকান্ত জানান, “যখন নির্বাচন হয় তখন বোঝাপড়া, জোট, ফ্রন্টের বিষয় থাকে। নির্বাচন মিটে গেলে সেসব থাকে না। ভবানীপুর সহ যে ক’টা আসনে নির্বাচন হচ্ছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের বোঝাপড়া যেমন ছিল তেমনই থাকছে। তবে কংগ্রেস কোথাও প্রার্থী না দিলে আমরা সেখানে প্রার্থী দেব, তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়া যায় না”।

আরও পড়ুন -  Post Office Scheme: ২ বছরে লাখপতি হতে পারেন মহিলারা পোস্ট অফিসের এই স্কিমে, এতে সুবিধা মিলবে কি?

বলাই বাহুল্য, একুশের নির্বাচনে বামের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামার পর থেকেই কার্যত এই সংগঠন নিয়ে হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শূন্য করেই বিধানসভা নির্বাচনের ময়দান ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় তাঁদের। সেই প্রসঙ্গেও সূর্যকান্ত আজ তাঁর বক্তব্যে জানান, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের পার্টি ছেড়ে কেউ বিজেপিতে যায়নি। মানুষ মনে করছে তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপিকে মদত দিতে হবে, তাই দিয়েছে। আবার আগের ভোটে মানুষ মনে করেছে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া প্রয়োজন, তবে এটা পার্টির কথা নয়”।

আরও পড়ুন -  Kovid-19: কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য