খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ মহামারীর অস্থির পরিস্থিতিতে আইনি পরিষেবাদাতা কর্তৃপক্ষগুলি নতুন স্বাভাবিক পন্থা হিসেবে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করে চিরাচরিত লোক আদালত ব্যবস্থাকে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত করেছে। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৫টি রাজ্যে ২৭টি ই-লোক আদালত আয়োজন করা হয়। এই আদালতগুলিতে ৪ লক্ষ ৮৩ হাজারের বেশি মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয় এবং ২ লক্ষ ৫১ হাজার মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। এর ফলে, ১,৪০৯ কোটি টাকার বিবাদ নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়াও, নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও তেলেঙ্গানায় একাধিক ই-লোক আদালত আয়োজিত হয়েছে। এই আদালতগুলিতে ১৬,৬৫১টি মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১২,৬৮৬টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। একইভাবে, ১০৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিবাদ মেটানো সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী আইনি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাভাবিক কাজকর্মকেই সম্পূর্ণ পালটে দিয়েছে। তাই, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সুবিচারের সুবিধা পৌঁছে দিতে আইনি পরিষেবাদাতা কর্তৃপক্ষগুলি সুকৌশলে প্রযুক্তিকে ন্যায়-বিচার প্রদানের চিরাচরিত মাধ্যম হিসেবে সর্বাধিক প্রয়োগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে অনলাইন লোক আদালত, যা ই-লোক আদালত নামে অধিক পরিচিত, তা আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় সুবিচার পৌঁছে দিতেই আইনি পরিষেবাদাতা কর্তৃপক্ষগুলি প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ই-লোক আদালত আয়োজন করা অত্যন্ত ব্যয়সাশ্রয়ী কারণ, এ ধরনের আদালত আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বহন করতে হয় না।
আইনি পরিষেবাদাতা কর্তৃপক্ষগুলির মাধ্যমে আয়োজিত রাজ্য ও জাতীয় স্তরের লোক আদালতগুলি বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার এক বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এ ধরনের আদালতের মাধ্যমে যে কোনও ধরনের প্রাক্-মামলা ও দীর্ঘদিন পড়ে থাকা মামলার পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে ও অতি স্বল্প খরচে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ ধরনের আদালত বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকেই যেমন একত্রিত করতে পারে, অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি শুনানির সময় সাশ্রয় করে। সেইসঙ্গে, অর্থের সাশ্রয়ও হয়। পক্ষান্তরে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ এবং আদালতের সময় ও খরচ উভয়েই হ্রাস করা সম্ভব। লোক আদালতগুলি দীর্ঘদিন আদালতে পড়ে থাকা মামলার সংখ্যা কমাতেও সাহায্য করে। এর ফলে, প্রাতিষ্ঠানিক আদালত ব্যবস্থায় মামলার বোঝা হ্রাস পায়। সূত্র – পিআইবি।