খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ চলতি বছরে ঘূর্ণিঝড় ‘উমপুন’ ও ‘নিসর্গ’, বন্যা ও ভূমিধ্বসে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ ও সিকিম এই অর্থ পাবে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ-এর পৌরহিত্যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি (এইচএলসি) ৬টি রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সাহায্য বাবদ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে অর্থ মঞ্জুর করেছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধ্বসের ফলে এই রাজ্যগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এইচএলসি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সাহায্য বাবদ ৬টি রাজ্যে ৪,৩৮১.৮৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
>ঘূর্ণিঝড় ‘উমপুন’এর জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা ও ওড়িশাকে ১২৮.২৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
>ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’এর জন্য মহারাষ্ট্রকে ২৬৮.৫৯ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
>দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর ফলে বন্যা ও ভূমিধ্বসে ক্ষতির কারণে কর্ণাটককে ৫৭৭.৮৪ কোটি টাকা, মধ্যপ্রদেশকে ৬১১.৬১ কোটি টাকা এবং সিকিমকে ৮৭.৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২২শে মে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেইসময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ সাহায্যের জন্য ২৩শে মে পশ্চিমবঙ্গকে ১ হাজার কোটি টাকা ও ওড়িশাকে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিহতদের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা এককালীন অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই অর্থ সাহায্য করা হয়েছিল।
এই ৬টি রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর সাহায্যের আবেদন আসার আগেই কেন্দ্র আন্তঃমন্ত্রীগোষ্ঠীর একটি কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এ পর্যন্ত কেন্দ্র এর বাইরে আরো ১৫,৫২৪.৪৩ কোটি টাকা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ২৮টি রাজ্যকে দিয়েছে। সূত্র – পিআইবি।