গণবন্টন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের পুষ্টি এবং বন্টনের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১৫টি রাজ্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ দেশে পুষ্টি সুরক্ষার দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে গণবন্টন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের পুষ্টি ও বন্টনের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত পাইলট প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে ১৭৪.৬ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১৫টি রাজ্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ১৫টি রাজ্যের একটি করে জেলা এর আওতায় এসেছে। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড় মোট পাঁচটি রাজ্যে নির্ধারিত জেলাগুলিতে ধানের পুষ্টি ও বন্টন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Bipasha Bose: মা হলেন বিপাশা বসু, ৪৩ বছর বয়সে

কেন্দ্রীয় খাদ্য, ক্রেতা বিষয়ক, রেল, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযুষ গোয়েল এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে গত ৩১শে অক্টোবর পর্যালোচনা বৈঠক করেন। গতকাল খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তর এর সচিবের পৌরহিত্যে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ফুড কর্পোরেশন অফ্ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-কে সুসংহত শিশু উন্নয়ন পরিষেবা (আইসিডিএস) এবং মিড-ডে-মিল প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে দেশের সব জেলাগুলিতে চাল মজুত ও বন্টনের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা কার্যকর করতে বলেছে। দেশের ১১২টি বিশেষভাবে চিহ্নিত উদীয়মান জেলাগুলিতে চাল সরবরাহের বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Dadagiri Stage: ‘মেয়েরা এখনও তোমার প্রেমে পড়ে’, দাদাগিরির মঞ্চে পায়েলকে সাফ জবাব

এবিষয়ে নীতি আয়োগের সিইও আজ খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের সচিব, এফএসএসএআই (ফাসি)-এর সিইও এবং টাটা ট্রাস্ট, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এই প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে। ধান মজুত কেন্দ্রস্থলে চাল সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১১২টি উদীয়মান জেলায় গণবন্টন ব্যবস্থাপনা, আইসিডিএস এবং মিড-ডে-মিল প্রকল্পে ১৩০ লক্ষ মেট্রিকটন চাল প্রয়োজন। এই ব্যবস্থাপনায় যাতে চাল সরবরাহ অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয় এই বৈঠকে।

আরও পড়ুন -  ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে ফ্লার্ট করতেন সালমান, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র সেটে

এছাড়াও দেশে প্রায় ২৮,০০০ ধান কল রয়েছে। তাদের চাল ভাঙানোর জন্য উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন। সেই বিষয় নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে এফসিআই-কে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের ধান কলগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে এপর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এফসিআই সফলভাবে চাল সংগ্রহ ও বন্টন প্রক্রিয়া চালাতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। সূত্র – পিআইবি।