ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর সমুদ্র তীর থেকে দূরে টহলদারী জাহাজ ‘সার্থক’এর উদ্বোধন

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর সমুদ্র তীর থেকে দূরে টহলদারী জাহাজ ‘সার্থক’এর উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমারের স্ত্রী শ্রীমতি বীনা অজয় কুমার। নতুন দিল্লীতে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়েছে। গোয়া শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড (সিএসএল)এই জাহাজটি তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার, ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর মহানির্দেশক শ্রী কে নটরাজন, গোয়া শিপ ইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সমুদ্র তীর থেকে দূরে টহল দেওয়ার জন্য যে ৫টি জাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সার্থক হল এরকমই চতুর্থ জাহাজ। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি অনুযায়ী গোয়া শিপ ইয়ার্ডে এই জাহাজটি তৈরি হয়েছে। এই জাহাজে অত্যাধুনিক দিক নির্দেশনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া জাহাজে ২টি ৯ হাজার ১০০ কিলোওয়াট ইঞ্জিন সমেত আরও কিছু উন্নত যন্ত্রপাতি রয়েছে। এই জাহাজের সর্বোচ্চ গতি হবে ২৬ নটস। উপকূল রক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য জাহাজটিতে একটি হেলিকপ্টার, ৪টি উচ্চগতি সম্পন্ন নৌকা এবং ১টি বড় নৌকা রয়েছে। এই জাহাজ চলার সময় সমুদ্র খুব কম পরিমাণে দূষিত হবে।

আরও পড়ুন -  শ্বশুর এবং পুত্রবধূ, সীমা অতিক্রম করলো সমস্ত লজ্জা, এই কাজ করে বসলো

ডঃ অজয় কুমার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, গোয়া শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ে এই জাহাজ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর মহানির্দেশক শ্রী কে নটরাজন বলেছেন, উপকূল রক্ষী বাহিনী, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যেসব মানুষ সমুদ্রে চলাচলকারীদের সমস্যার সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  IPL 2023: হুংকার দিলেন অজিঙ্কা রাহানে, ‘আমার সেরাটা এখনও দিতে পারেনি’, KKR-কে হারিয়ে

উপকূল অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য এবং দেশের সমুদ্র অঞ্চলের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। সমুদ্রের তীর থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে টহল দেওয়ার জন্য ৫টি জাহাজ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জাহাজ তৈরির কারখানায় এই বাহিনীর জন্য আরও ৫২টি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও বেঙ্গালুরুর হ্যালে ১৬টি উন্নত প্রযুক্তির হাল্কা হেলিকপ্টার নির্মাণের কাজ চলছে। উপকূল রক্ষী বাহিনী সমুদ্রে ৯ হাজার ৭৩০ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এছাড়াও অসামরিক কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন বিপর্যয়ে উদ্ধারকাজে সাহায্য করে থাকে। বাহিনীর সদস্যরা এরকম কাজে ১২ হাজার ৫০০ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। শুধুমাত্র জলসীমার মধ্যেই নয়, এই বাহিনী মিত্র দেশগুলির জল সীমাতেও বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ করে। ভারত মহাসাগরে নিষিদ্ধ মাদক আটক সহ অন্যান্য নানা অসামাজিক কাজকর্ম প্রতিহত করে। ভারতীয় উপমহাদেশে নিরাপদ এবং স্বচ্ছ সমুদ্র নিশ্চিত করতে এই বাহিনী দায়বদ্ধ। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে বাজেয়াপ্ত করেছেন। সূত্র্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  Mamata Banerjee: ক্ষমা চাইলেন মমতা, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য

Leave a Comment