খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট, ছত্তিশগড় ও তামিলনাডু – এই ৬টি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। এই রাজ্যগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৭১৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, যা সারা দেশে মোট আক্রান্তের ৮০.৯০ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে একদিনেই সর্বাধিক ২৪ হাজার ৬৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পাঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৯৯। অন্যদিকে, গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪০। উপরোক্ত ঐ ৬টি রাজ্য বাদে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে দৈনিক আক্রান্তের ঘটনায় ক্রমাগত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বনিম্ন হওয়ার পর দেশে আবার সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৭৭। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৩১ বেড়েছে। দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ৭৫.১৫ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরল ও পাঞ্জাব থেকে। কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের এই হার ৬২.৭১ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় ২০২১ সালের পয়লা মার্চ ৫০৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট থেকে কমে ২৩ মার্চ দাঁড়িয়েছে ২০২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
সারা দেশে কোভিড টিকাকরণ অভিযানের আওতায় আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জনকে টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আজ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহীতা সুফলভোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ১৫৩ হয়েছে। দেশে মোট টিকাকরণের মধ্যে ৭৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৭৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রথম ডোজ, ৪৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৬৪ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ৮২ লক্ষ ৪২ হাজার ১২৭ জন কর্মী প্রথম ডোজ ও ২৯ লক্ষ ৩ হাজার ৪৭৭ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। একাধিক উপসর্গবিশিষ্ট ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৪২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩১০ জন সুফলভোগী টিকার প্রথম ডোজ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২ কোটি ২ লক্ষ ৩১ হাজার ১৩৭ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
টিকাকরণ অভিযানের ৬৬তম দিনে (২২ মার্চ) ৩২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ লক্ষ ৩ হাজার ৩০ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৫ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
ভারতে করোনায় সুস্থতার সংখ্যা আজ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৩। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার ৯৫.৬৭ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরোগ্য লাভ করেছেন ২৯ হাজার ৭৮৫ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি রাজ্যে মৃত্যু হার ৮০.৪ শতাংশ। কেবল মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবে ৫৮ জন করে মারা গেছেন। অন্যদিকে, কেরল ও ছত্তিশগড়ে মারা গেছেন ১২ জন করে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুর খবর নেই। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে – জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া, উত্তরাখন্ড, ওডিশা, লাক্ষাদ্বীপ, সিকিম, লাদাখ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি। সূত্র – পিআইবি।