অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সংস্থাগুলির জন্য পিএম ফর্মালাইজেশন কর্মসূচির সূচনা; ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং দক্ষ ও অর্ধদক্ষ মিলিয়ে ৯ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ : হরসীমরত কউর বাদল

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ      আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রী শ্রীমতী হরসীমরত কউর বাদল আজ অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পগুলির জন্য পিএম ফর্মালাইজেশন কর্মসূচির সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষে শ্রীমতী বাদল বলেন, কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি, দক্ষ ও অর্ধদক্ষ ৯ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গে, ৮ লক্ষ অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সংস্থা লাভবান হবে।

স্থানীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শ্রীমতী বাদল বলেন, গ্রামাঞ্চলের শিল্পোদ্যোগীরা যে সমস্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন করে থাকেন, স্থানীয়  মানুষের কাছে এ ধরনের খাবার সরবরাহের এক দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গত ১২ই মে জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্থানীয় উৎপাদন ইউনিটগুলির গুরুত্ব ও ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, সে প্রসঙ্গে শ্রীমতী বাদল বলেন, অসংগঠিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জের দরুণ তাদের উৎপাদনশীলতা ও বিকাশ হার থমকে গেছে। তিনি আরও জানান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। প্রায় ২৫ লক্ষ অসংগঠিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ইউনিটের মধ্যে এ ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলির প্রায় ৬৬ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের এবং প্রায় ৮০ শতাংশ ইউনিট পরিবার-ভিত্তিক উদ্যোগ। তাই, এ ধরনের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলিকে অতিক্ষুদ্র শিল্প সংস্থার শ্রেণীভুক্ত করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন -  Durga Pujo: রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রাজবাড়ির পুজো

আজ সূচনা হওয়া অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পগুলির জন্য পিএম ফর্মালাইজেশন কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা, কারিগরি ও বিপণনগত সহায়তার পাশাপাশি ইউনিটগুলির মানোন্নয়নেও যথাসম্ভব সাহায্য দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট এই প্রকল্পটি ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত পাঁচ বছরের মেয়াদকালে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রূপায়িত হবে। এই প্রকল্পের রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারগুলি ৪০ শতাংশ অর্থ বহন করবে। কর্মসূচির আওতায় ‘এক জেলা, এক পণ্য’ সংক্রান্ত পরিকল্পনা রূপায়ণের প্রস্তাব করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যগুলির জন্য অভিন্ন পরিষেবা ও বিপণন সুবিধা গড়ে তোলা।

আরও পড়ুন -  Team India: এই বিধ্বংসী ক্রিকেটার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আশা কম, বিদায় জানাতে পারেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে

বর্তমানে চালু অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলি তাদের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য মোট ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ হারে ঋণ সংযুক্ত মূলধনী ভর্তুকির সুবিধা পাবে। তবে, এ ধরনের প্রকল্প খাতে খরচের ঊর্ধ্বসীমা স্থির হয়েছে ইউনিট প্রতি ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, পিএম ফর্মালাইজেশন কর্মসূচিতে দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষণার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রকের অধীন দুটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যস্তরীয় কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, পণ্যের গুণমান বজায় রাখা, পণ্যের উপযুক্ত প্যাকেজিং প্রভৃতি কাজের জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  সেতু

এই কর্মসূচিতে যে কোনও ক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট সামিল হতে পারে। তবে, কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে যে সমস্ত নীতি-নির্দেশিকা রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে।

শ্রীমতী বাদল আরও জানান, তাঁর মন্ত্রক খুব শীঘ্রই তপশিলি জাতি ও উপজাতির শিল্পোদ্যোগীদের জন্য নিখরচায় অনলাইনে দক্ষতা উন্নয়নের ক্লাস চালু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রক এ ধরনের ই-শিক্ষণ পদ্ধতির জন্য ৪১টি পাঠ্যক্রম ও ও কর্মোপযোগী বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত কাজকর্ম, জ্যাম ও আচার বানানো প্রভৃতি। কর্মসূচিতে ই-শিক্ষণ পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ইংরাজি ও হিন্দি সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও, অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ চালু করা হচ্ছে বলেও শ্রীমতী বাদল জানান। সূত্র – পিআইবি।