সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে বাড়ির শোয়ার ঘর থেকে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো ইংরেজবাজার থানার বিনোদপুর এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামীণ পুলিশ প্রথমে মিল্কি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায় তারপর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃত ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রীর নাম সুমিত্রা সরকার বয়স ১৭ বছর। সে স্থানীয় সাট্টারি হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা নিখিল সরকার মা রিতা সরকার। বাবা পেশায় শ্রমিকের কাজের সাথে যুক্ত। তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ছেলে কর্মক্ষেত্রেবর্তমানে বাইরে আছে বাড়িতে থাকতো ছোট মেয়ে সুমিত্রা।গত 8 মার্চ মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা মা এক আত্মিয়র বিয়ে বাড়ির তে অংশগ্রহণ নিতে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জান। বাড়িতে একাই ছিল মেয়ে সুমিত্রা সরকার।
বুধবার সকাল বেলা মৃত স্কুলছাত্রীর কাকিমা নমিতা সরকার যখন তাকে ডাকতে আসে তখন ঘর থেকে কোন সাড়াশব্দ পায় নি। তারপরই ঘরে ঢুকতে দেখা যায় দরজা খোলা এবং নিজের শোবার ঘরে বিছানার উপরে সে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার মোবাইল ফোন পাশে রয়েছে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাড়ির আরও লোকজন ছুটে আসে সাথে সাথে গ্রামীণ পুলিশকে খবর দেওয়া হয় পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মিল্কি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানায়। ওই স্কুলছাত্রীর কাকিমা নমিতা সরকার জানাই বাড়িতে তার বাবা-মা কেউ ছিলনা তারা তাদের পরিবারের এক আত্মীয়র বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে গত 8 মার্চ গিয়েছিল। বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। বুধবার সকালে খোঁজখবর নিতে যখন আসি তখনই কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকতেই দেখি দরজা খোলা এবং সে বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার কোন জ্ঞান ছিল না। তার পরই পরিবারের অন্যান্য সদস্য বিষয়টি জানতে পারে।
নমিতা সরকার এও জানান যে মোবাইল ফোনটি তার পাশে ছিল। সে মোবাইলে ১৫ টি অচেনা নাম্বার থেকে মিস কল করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত ওই স্কুলছাত্রীর গলায় দাগ এর চিহ্ন দেখা গেছে। আর তা দেখেই তাদের পরিবারের সন্দেহ করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা না কে বা কারা তাকে হয়তো ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই বাবা-মা নদীয়া থেকে মালদার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। মৃত ওই স্কুলছাত্রীর আরেক কাকা সমর সরকার জানান বাড়িতে কেউ ছিল না তাদের মেয়ে বাড়িতে একাই ছিল তার বাবা-মা বাড়িতে ছিল না। এটি আত্মহত্যা হতে পারেনা। কারণ দরজাটি খোলা অবস্থায় ছিল পাশাপাশি গলায় দাগ দেখা দিচ্ছে তাতেই পরিবারের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে কে বা কারা ঘরে ঢুকে তাদের মেয়েকে খুন করেছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মিল্কি ফাঁড়িতে তারা জানিয়েছেন। ইংলিশবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় জানান খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে মৌখিকভাবে বিস্তারিত জানা হয়েছে। তবে এখন অব্দি কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।