তৃণমূলকে একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। গরু পাচার করতে দেওয়া হয়।’
একমাত্র বাংলাতেই জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে দেওয়া হয় না। কেন রোখা হচ্ছে রাম নাম স্লোগান?’ ‘রাম বিরোধীদের বাংলায় কোনও স্থান নেই।’

এখানকার সরকার মহরমের জন্য দুর্গাপুজো করতে দেয়নি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে আমি এটা হতে দিইনি। এখানে গরুপাচারকারীদের মদত দেওয়া হয়। স্বামী বিবেকানন্দ এই বক্তব্য বলেছিলেন গর্বের সঙ্গে বল আমি হিন্দু। ‘এক দেশ, এক রেশন বাংলায় মানুষ সেভাবে সুবিধা পায়নি। বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প কার্যকর করতে দেওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধির লাভ সোজা অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো। কিন্তু এখানে মমতা দিদি সেটা করতে দেয়নি। মালদার গাজোলের জনসভা মঞ্চ থেকে এই ভাবেই তৃণমূলকে একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

আরও পড়ুন -  ২২ জন নিহত, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায়

মঙ্গলবার গাজোল কলেজ ময়দানে জেলা বিজেপি উদ্যোগে এক নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। বক্তব্য রাখতে উঠে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভাষণের প্রথম থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে। তিনি বলেন, মালদহ ভারতীয় সংস্কৃতির পীঠস্থান। চৈতন্য মহাপ্রভুর এই ভূমি বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। বাংলায় অরাজকতা দেখলে দেশবাসীর খারাপ লাগে। স্বামী বিবেকানন্দ,নেতাজি সুভাষ চন্দ্রবসু ,শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই জন্মভূমিকে আমার প্রণাম।

আরও পড়ুন -  Harmony: সম্প্রীতির ছবি হাওড়ার পিলখানায়

সিএএ নিয়ে বাংলায় হিংসা কেন হয়েছে? এখানকরা সরকার অনুপ্রবেশকারীদের বাইরে পাঠাতে চায় না। কেন্দ্র এটা করেই ছাড়বে ।

আগে ভারতের সব যুবক-যুবতী কাজ করতে বাংলায় আসতেন। এখন সেই বাংলা অনেক পিছিয়ে চলে গেছেন।

আরও পড়ুন -  Durga Pujo: জলপাইগুড়ির দুর্গাপ্রতিমা ও পুজো মন্ডপ

এখানকার যুবকরা রোজগারের জন্য উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে যায়।’এটা লজ্জার । পশ্চিবঙ্গে লাভ জিহাদের ঘটনা হচ্ছে। আমরা উত্তরপ্রদেশে এই নিয়ে আইন এনেছি। লাভ জিহাদের পরিণাম খুব বাজে হয়। এখানকার সরকার তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে সরকার অপরাধীদের সুবিধা দেয়। পুলিশ এফ আই আর নেয় না। থানাগুলি তৃণমূলের অফিস হয়ে গেছে।