খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিজ্ঞান যাত্রার আয়োজন করা হয়। এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিগুলিতে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী আয়োজন করা হয় দেশের একাধিক শহর থেকে। বিজ্ঞান মনস্কতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্যই হল, জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান সংস্কৃতির আত্মোপলব্ধি ঘটানো এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে তোলা। কর্মসূচিগুলিতে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে স্থানীয় বিদ্যালয় / বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীগুলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা হয়। ষষ্ঠ ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসব এবার অপ্রত্যাশিত কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত হচ্ছে। দেশের প্রায় ৩০টি জায়গা থেকে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশিষ্ট বিজ্ঞান প্রবক্তারা ছাড়াও উদ্ভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকরা স্থানীয় স্তরে আয়োজিত এই কর্মসূচিগুলিতে অংশ নেবেন।
কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স (আইএসিএস) প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান যাত্রার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা অধ্যাপক শান্তনু ভট্টাচার্য বিজ্ঞান যাত্রা কর্মসূচির সূচনা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত অধ্যাপক এম এন শর্মা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসব আয়োজনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করে অভিনব বিজ্ঞান যাত্রার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিজনানা ভারতীর জাতীয় সম্পাদক শ্রী প্রবীণ রামদাস বিশেষ ভাষণ দেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর অধ্যাপক ওয়াই সুধাকর, আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক পার্থপ্রতীম চক্রবর্তী প্রমুখ অংশ নেন।
ধানবাদে সিএসআইআর-এর সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মাইনিং অ্যান্ড ফুয়েল রিসার্চ-এর পক্ষ থেকেও ইউটিউবে বিজ্ঞান যাত্রার আয়োজন করা হয়। গোয়ায় সিএসআইআর-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশনোগ্রাফির পক্ষ থেকেও একই ধরনের কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। গোয়ার এই অনুষ্ঠানে ডিএসআইআর-এর সচিব ডঃ শেখর সি মান্ডে বলেন, এ ধরনের বিজ্ঞান যাত্রা ও মহোৎসবের প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরের ওপর পড়বে। পক্ষান্তরে সব শ্রেণীর মানুষই লাভবান হবেন। বিজনানা ভারতীর সচিব শ্রী জয়ন্ত সহস্রবুদ্ধে এবারের বিজ্ঞান মহোৎসবের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২০-র বিজ্ঞান মহোৎসবের মূল ভাবনার মধ্যেও বিজ্ঞান মনস্কতার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে সারা দেশে একাধিক বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে কার্টেন রেইজার, বিজ্ঞান যাত্রা ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ইম্ফলের ইনস্টিটিউট অফ বায়ো রিসোর্স অ্যান্ড সাসটেনেবেল ডেভেলপমেন্ট (আইবিএসডি)-এর পক্ষ থেকেও এবারের ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে কার্টেন রেইজার তথা বিজ্ঞান যাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এই অনুষ্ঠানগুলিতে সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির অধিকর্তা শ্রী অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নর্থ-ইস্ট সেন্টার ফর টেকনলজি অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড রিচ-এর মহানির্দেশক ডঃ অরুণ কুমার শর্মা, বিজনানা ভারতীর শ্রী শ্রীপ্রসাদ এম কুট্টান প্রমুখ অংশ নেন। সূত্র – পিআইবি।