গাড়িতে নতুন প্রাণ, বাজেটেই ইলেকট্রিক রূপে ফিরল Maruti Omni!

Published By: Khabar India Online | Published On:

গাড়িতে নতুন প্রাণ, বাজেটেই ইলেকট্রিক রূপে ফিরল Maruti Omni!

দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় রাস্তায় রাজত্ব করা মারুতি ওমনি এবার ফিরে এল একেবারে নতুন রূপে—এবং তাও সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক অবতারে। চমকে দেওয়ার মতো এই রূপান্তর ঘটিয়েছেন দেশের একদল প্রযুক্তিপ্রেমী ছাত্র, যারা মাত্র ₹২.৫ লক্ষ টাকার কম খরচে একটি পুরনো ওমনিকে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়িতে পরিণত করেছেন।

ছাত্রদের অভিনব উদ্যোগ
এই প্রকল্পটি প্রমাণ করে দিল—কম খরচেও পুরনো গাড়িকে নতুন জীবন দেওয়া সম্ভব। প্রযুক্তির সাশ্রয়ী ব্যবহারে এবং পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরনো গাড়িকে রূপান্তরের এই ভাবনা ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক নতুন পথ দেখাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন -  Monami Ghosh: মৌ বৌদির পিঠখোলা পোশাক দেখে, নোংরা ভাষায় আক্রমণ নেটিজেনের !

কী কী সংযোজন?
এই ইলেকট্রিক ওমনি চালিত একটি ২.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেকট্রিক মোটরে, যার দুটি মোড রয়েছে—‘Speed’ এবং ‘Torque’। একটি সম্পূর্ণ চার্জে গাড়িটি প্রায় ৯০ কিমি পর্যন্ত চলতে পারে এবং সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৪৫ কিমি।
রূপান্তরের খরচের বিস্তারিত:
• বডি ওয়ার্ক: ₹৪০,০০০
• ড্রাইভট্রেন: ₹৬০,০০০
• ব্যাটারি প্যাক: ₹৮০,০০০
• রঙ ও অন্যান্য খরচ: ₹১৫,০০০ + অতিরিক্ত কিছু ছোট খরচ।

বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে নজরকাড়া রূপান্তর
গাড়িটির বাইরের অংশে রয়েছে LED হেডলাইট, ডে-টাইম রানিং লাইট (DRL), পড লাইট, নতুন ডিজাইনের বাম্পার, রেড অ্যাকসেন্টসহ ম্যাট ব্ল্যাক রঙ ও কাস্টম অ্যালয়-স্টাইল হুইল।

আরও পড়ুন -  WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপের কয়েকটি ফিচার সরে গেল

অভ্যন্তরে যুক্ত হয়েছে Android প্লেয়ার, MOMO স্টিয়ারিং হুইল, ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম এবং লেদার আসন।

বিশেষ আকর্ষণ: ১০ জনের বসার ব্যবস্থা!
সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল—এই গাড়িতে বসতে পারবেন একসঙ্গে ১০ জন। কারণ পিছনের ছাদটি খোলা রাখা হয়েছে, যা গাড়িটিকে একটি খোলা মিনিভ্যানের রূপ দিয়েছে।

FAQ: আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর
1. ইলেকট্রিক ওমনির সর্বোচ্চ গতি কত?
→ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪৫ কিমি।
2. একবার চার্জে কতদূর যাবে?
→ প্রায় ৯০ কিমি।
3. মোট খরচ কত হয়েছে?
→ ₹২.৫ লক্ষ টাকারও কম।
4. ক’জন বসতে পারবেন?
→ সর্বোচ্চ ১০ জন।
5. প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য কী কী?
→ ২.৫ কিলোওয়াট মোটর, ডিজিটাল Android ড্যাশবোর্ড, LED লাইটিং, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি।

আরও পড়ুন -  ‘মিশন এক্সট্রিম’ মালয়েশিয়ায় মুক্তি

এই উদ্যোগ শুধুমাত্র একটি গাড়ির রূপান্তর নয়—এ এক প্রতীক, যা দেখিয়ে দিল প্রযুক্তির সহায়তায় কীভাবে পুরনো কিছুকেও ভবিষ্যতের রূপে ফিরিয়ে আনা যায়। পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থার দিকে এক সাহসী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে।