চোখের পলকে টাকা বাড়বে! ১৫ লক্ষে ২২ লক্ষ ফেরত, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলেই সোনায় সোহাগা।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুরক্ষা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ার বাজারের উত্থান-পতনে অস্থির না হয়ে, অনেকেই খোঁজ করেন এমন কোনও স্কিম, যেখানে মূলধনের নিশ্চয়তা থাকলেও মুনাফাও ভালো পাওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রকল্প হল পোস্ট অফিসের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC)।
সরকারি গ্যারান্টি বিনিয়োগ
ভারত সরকারের অনুমোদিত এই সঞ্চয় প্রকল্পটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে বছরের পর বছর ধরে এক বিশ্বস্ত বিনিয়োগের মাধ্যম। বর্তমানে NSC-তে বিনিয়োগ করলে বছরে ৭.৭% হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে, যা বার্ষিক কম্পাউন্ডিংয়ের মাধ্যমে মেয়াদ শেষে পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ সুদের উপরও সুদ মেলে, ফলে শেষমেশ আয় হয় অনেক বেশি।
১৫ লক্ষে আয় প্রায় ২২ লক্ষ!
এই প্রকল্পে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা গেলেও, সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। বড় অঙ্কে বিনিয়োগকারীরাও তাই এই স্কিমে আগ্রহী হতে পারেন। যেমন, কেউ যদি ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে ৫ বছরের শেষে তার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ২১,৭৩,৫৫১ টাকা। এতে মোট মুনাফা হয় ৬,৭৩,৫৫১ টাকা।
কর পরিকল্পনায় সুবিধা
এই প্রকল্পে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল কর ছাড়ের সুবিধা। আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ কর ছাড়যোগ্য। যদিও সুদের উপর কর প্রযোজ্য, তবে এতে TDS কাটা হয় না, যা কর পরিকল্পনার দৃষ্টিতে বাড়তি সুবিধা দেয়।
FAQ – পাঠকদের জিজ্ঞাসা:
1. NSC-তে কবে বিনিয়োগ করা যায়?
→ সারা বছর দেশের যেকোনও পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করা সম্ভব।
2. এই স্কিমে সুদের হার কি পরিবর্তন হতে পারে?
→ হ্যাঁ, ভারত সরকার প্রতি তিন মাসে একবার NSC-র সুদের হার পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
3. মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তোলা যায় কি?
→ বিশেষ কিছু পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণত ৫ বছরের আগে টাকা তোলা যায় না।
4. এটি কি শুধুমাত্র এককালীন বিনিয়োগের জন্য?
→ না, আপনি একাধিক বার বিভিন্ন অঙ্কে বিনিয়োগ করতে পারেন।
5. সুদের টাকা হাতে কবে পাওয়া যায়?
→ সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে কম্পাউন্ড হয় এবং পুরো সুদের পরিমাণ একসঙ্গে পাওয়া যায় মেয়াদ শেষে।
পোস্ট অফিসের এই সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে সুরক্ষিত সঞ্চয়ের পাশাপাশি পাওয়া যায় নিশ্চিত মুনাফা। তাই ঝুঁকিমুক্ত আর্থিক পরিকল্পনায় NSC হতে পারে এক স্মার্ট পছন্দ।