হর্ষ রিছারিয়ার কুম্ভ ছাড়ার আবেগঘন ঘটনা, সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রে।
সম্প্রতি হর্ষ রিছারিয়া তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে কাঁদতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে তিনি মহাকুম্ভ মেলা ছাড়ার কারণ স্পষ্ট করেছেন। তার অভিজ্ঞতার এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কুম্ভ মেলায় বিতর্ক ও হর্ষ রিছারিয়ার ভূমিকা
কুম্ভ মেলার শুরু থেকেই হর্ষ রিছারিয়া আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। তাকে অনেকেই “সবচেয়ে সুন্দরী সাধ্বী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ৩০ বছর বয়সী হর্ষ তার সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে তার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কও কম ছিল না। তিনি নিজে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তিনি সাধ্বী নন। বরং, তিনি সনাতন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার এবং ধর্মীয় পথ অনুসরণ করার অভিপ্রায় নিয়ে কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হর্ষকে নিরঞ্জনী আখড়ার রথে বসে থাকতে দেখা যায়, যা কিছু সাধুর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাদের অভিযোগ ছিল, জাফরান বস্ত্র পরিধান করে রথে বসা সনাতন আচার অনুযায়ী সঠিক নয়। এ নিয়ে বিতর্ক এতটাই বেড়ে যায় যে হর্ষ শেষ পর্যন্ত কুম্ভ মেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
কুম্ভ মেলা ছাড়ার কারণ: হর্ষের বক্তব্য
নিজের ভিডিও বার্তায় হর্ষ রিছারিয়া আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমি সনাতন সংস্কৃতি জানার এবং ধর্মীয় পথে চলার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কুম্ভে এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখানে আমাকে একজন মেয়ে হিসেবে যোগ্য মনে করা হয়নি। যে কুম্ভ জীবনে একবার আসে, সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু মানুষ আমাকে সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে দিল না। আমার ভুলটা কী ছিল? এখানে থেকে চব্বিশ ঘণ্টা কটেজে বন্দি থাকার চেয়ে কুম্ভ ছেড়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে হয়েছে।”
কে এই হর্ষ রিছারিয়া?
হর্ষ রিছারিয়ার জন্মস্থান মধ্যপ্রদেশের ভোপাল হলেও বর্তমানে তিনি উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই ৩০ বছর বয়সী তরুণী একজন:
• অ্যাঙ্কর
• মেকআপ আর্টিস্ট
• সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট
• সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবক
• ট্রাভেল ব্লগার
তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তার বহুমুখী প্রতিভার প্রতিফলন।
নতুন আলোচনার সূত্রপাত
এই ঘটনাটি কুম্ভ মেলায় নারী-পুরুষের ভূমিকা, সনাতন সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতা এবং আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। হর্ষ রিছারিয়ার অভিজ্ঞতা একদিকে ধর্মীয় প্রথা এবং সংস্কৃতির প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তার ভাইরাল ভিডিও সমাজের কাছে একটি বড় প্রশ্ন রেখে গেছে—ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কি আধুনিক সময়ে সমানভাবে নারী ও পুরুষকে গ্রহণ করছে?
यही सत्य है
जब जब एक महिला अपने जीवन में कुछ अलग करती है तो समाज के कुछ लोग बढ़ने नहीं देते
बाकी प्रभु इच्छाहर हर महादेव……………..@newscooponline #harsha #viralsadhvi #host_harsha #harshasquad #trending #viralvideo #mahakumbh2025 #prayagraj #sanatan #hindu #mahadev pic.twitter.com/4fYrJYL6Jv
— Harsha (@Host_harsha) January 16, 2025